আন্তর্জাতিক সৌন্দর্য প্রতিযোগিতাগুলি সব ‘প্রহসন’। কোন সালে কে সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার শিরোপা জিতবেন, তা আগে থেকেই ঠিক করে রাখা হয়। পূর্ব নির্ধারিত সবকিছু মেনেই বিশ্ব সুন্দরীর মুকুট কারও মাথায় পরিয়ে দেওয়া হয়। না হলে, ডায়না হেইডেন কখনও বিশ্ব সুন্দরীর মুকুট জিততে পারেন? আন্তর্জাতিক সৌন্দর্য প্রতিযোগিতা নিয়ে এবার এমনই মন্তব্য করলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব।
তিনি বলেন, পর পর ৫ বছর বিশ্ব সুন্দরীর শিরোপা জিতেছে ভারত। এ দেশের মেয়েদের মাথায় উঠেছে সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার শিরোপার মুকুট। সেখানে নাম রয়েছে ডায়না হেইডেনেরও। কিন্তু ডায়না কি বিশ্ব সুন্দরী হওয়ার উপযুক্ত? এমন প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েই এবার নতুন করে বিতর্কে জড়িয়েছেন বিপ্লব দেব।
শুধু ডায়নাকে একহাত নিয়েই চুপ থাকেননি বিপ্লব। ডায়নার সঙ্গে তুলনা করে ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনকেও ময়দানে টেনে আনেন। তিনি বলেন, ১৯৯৪ সালে বিশ্ব সুন্দরীর খেতাব জয় করেন ঐশ্বরিয়া। আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতীয় নারীদের সত্যিকারের সৌন্দর্য তুলে ধরেছেন তিনি। ঐশ্বরিয়া বিশ্ব সুন্দরী হওয়ার যোগ্য বলেও মন্তব্য করেন ‘বাংলাদেশের ছেলে’ বিপ্লব।
শুধু তাই নয়, ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, পুরনো দিনে ভারতীয় নারীরা কখনো প্রসাধনী ব্যবহার করতেন না। চুল ধোয়ার জন্য ভারতীয় মেয়েরা শ্যাম্পু নয়, মেথির পানি ব্যবহার করতেন। গোসল করতেন মাটি দিয়ে। কিন্তু যারা আন্তর্জাতিক সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন, তারা একেকজন ‘কসমেটিকস মাফিয়া’। ভারতীয় বাজারে নিজেদের ব্যবসা প্রসারিত করতেই তারা ওই পন্থা নিচ্ছে বলে দাবি করেন বিপ্লব দেব।
বিপ্লবের কথায়, ঐশ্বরিয়া বিশ্ব সুন্দরীর খেতাব জয় করেছেন, ঠিক আছে। কারণ বিশ্বের সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার মঞ্চে তিনি ভারতীয় নারীদের তুলে ধরেছেন। কিন্তু ডায়নার মাঝে কী এমন সৌন্দর্য রয়েছে- বলে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
ডায়না হেইডেনের বিশ্ব সুন্দরীর খেতাব জয় ‘প্রহসন’ ছাড়া অন্য কিছু নয় বলেও মন্তব্য করেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া • অরিন/নিউজ টোয়েন্টিফোর
