‘পঞ্চবুটি’ খেয়ে ধর্ষণ করতেন আসারাম

‘পঞ্চবুটি’ খেয়ে ধর্ষণ করতেন আসারাম

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

গভীর রাতে টর্চের আলো জ্বেলে পঞ্চবুটি খেয়ে মেয়েদের ধর্ষণ করতেন ভারতের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্ত ধর্মগুরু আসারাম বাপু। যে ১৬ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণের দায়ে আসারামের যাবজ্জীবন সাজা হয়, ওই মামলার ৪৫৩ পৃষ্ঠায় তার যৌন বিকারের এমন বর্ণনা রয়েছে। মামলার প্রধান সাক্ষী রাহুল কে সাচার এ বর্ণনা দেন।

তিনি জানান, গভীর রাতে জানালায় টর্চের আলো পড়লেই তিন নারী সহযোগী আসারামের কক্ষে মেয়ে পাঠাতেন।

অবশ্য ওই সহযোগীদেরও আসারাম একসময় ধর্ষণ করেন। পরে তাদের সহযোগীর চাকরি দেওয়া হয়। তাদের কাজ হয়ে দাঁড়ায় আশ্রমের মেয়েদের গভীর রাতে আসারামের কক্ষে পৌঁছে দেওয়া।

মামলার নথি অনুযায়ী, আসারামের কক্ষে ব্রহ্মজ্ঞান দেওয়ার কথা বলে মেয়েদের নেওয়া হতো।

কিন্তু সেখানে কথিত ধর্মগুরু তাদের ধর্ষণ করতেন। আর ধর্ষণ শুরুর আগে পঞ্চবুটি নামে যৌন উত্তেজক ওষুধ সেবন করতেন আসারাম।

রাহুল কে সাচারের সাক্ষ্য অনুযায়ী, এক রাতে আসারামের কক্ষে এক মেয়েকে পাঠানো হলে তার সন্দেহ হয়। তখন তিনি ওই কক্ষের দেওয়ালে ওঠে দেখেন আসারাম মেয়েটিকে ধর্ষণ করছে। পরে আশ্রমে কেন এমন কাজ করা হচ্ছে, জানতে চেয়ে আসারামকে চিঠি লেখেন রাহুল। কিন্তু তিনি কোনো জবাব না দিয়ে ধর্ষণ অব্যাহত রাখেন। পরে আবার চিঠি লেখেন রাহুল। তখন তাকে আশ্রম থেকে বের করে দিতে নিরাপত্তারক্ষীদের নির্দেশ দেন আসারাম। আসারামের কুকীর্তি নিয়ে কথা বলায় রাহুলের ওপর হামলা চালিয়েছিল আসারামের লোকজন। পরে ধর্ষকগুরুর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে আদালত পর্যন্ত যান তিনি।

অবশেষে রাহুলের সাক্ষ্যের ওপর ভিত্তি করে বুধবার রাজস্থানের জোধপুর বিশেষ আদালত আসারাম বাপুকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর