কাঠুয়া গণধর্ষণ:‌ ‌ছেলেকে বাঁচাতে আসিফাকে হত্যা

কাঠুয়া গণধর্ষণ:‌ ‌ছেলেকে বাঁচাতে আসিফাকে হত্যা

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

ছেলে বিশালকে বাঁচাতেই শিশু আসিফাকে খুন করার পরিকল্পনা করা হয় বলে পুলিশকে জানান, কাঠুয়া গণধর্ষণের অন্যতম অভিযুক্ত সঞ্জী রাম। শিশু আসিফাকে অপহরণের চারদিন পর তিনি পুরো ঘটনাটি জানতে পারেন। এরপরই নিজের ছেলেকে বাঁচাতে মেয়েটিকে খুন করার পরিকল্পনা করেন সঞ্জী রাম।

পুলিশ জানায়, সঞ্জী রামেরই ভাগ্নে ১০ জানুয়ারি ওই শিশুকে অপহরণ এবং ধর্ষণ করে।

এরপর ওই মন্দিরে আটকে রাখার পর সঞ্জী রামের ছেলে ওই কুকর্মে যুক্ত হয়। বেশ কয়েকদিন এই অত্যাচার চলে। ১৩ জানুয়ারি কোনও একটি কাজ না করায় সঞ্জী রাম তার ভাগ্নেকে মারধর শুরু করে। তখনই ভাগ্নে ভাবে কাকা বুঝি সমস্ত খবর জানতে পেরেছে।
এরপরই সে পুরো ঘটনা সঞ্জী রামকে খুলে বলে। নিজের ছেলেও জড়িত দেখে সঞ্জী রাম শিশু আসিফাকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করে। পরে ১৪ জানুয়ারি শিশুটিকে খুন করা হয়। পরে ফেলে দেওয়া হয় জঙ্গলে।

উল্লেখ্য, ১০ জানুয়ারি জঙ্গলে ঘোড়া চরাতে গিয়ে নিখোঁজ হয় আট বছরের শিশু। তদন্তকারীদের অনুমান, জঙ্গলে ঘোড়া হারিয়ে যাওয়ায় বেশ ঘাবড়ে পরে ওই শিশুটি। তখন অভিযুক্তরা তার ঘোড়া খুঁজে দেওয়ার কথা বলে অপহরণ করে। এই ঘটনার একদিন পরই শিশুটির পরিবার মন্দিরে গিয়ে অভিযুক্ত সাঞ্জি রামকে নিখোঁজ মেয়ের বিষয়ে জিজ্ঞাস করেন।

কিন্তু সাঞ্জি রাম জানায়, শিশুটি হয়ত কোনও আত্মীয়ের বাড়িতে চলে গেছে। যদিও শিশুটিকে অজ্ঞান করে মন্দিরের ভেতরেই রাখা হয়েছিল। এই ঘটনায় অভিযুক্ত কিশোরই অপহরণ ও খুন করে শিশুটিকে। সঙ্গে ছিল সাঞ্জি রামের ছেলে ও দীপক খাজুরিয়া। পরীক্ষায় পাস করিয়ে দেওয়া প্রতিশ্রুতি দিয়ে এই কাজ করানো হয় সাঞ্জি রামের ভাস্তেকে দিয়ে। তবে এ ঘটনার নেপথ্যে যে সাঞ্জি রামই ছিল তা উল্লেখ রয়েছে চার্জশিটে।

পুলিশ জানায়, অভিযুক্তরা প্রথমে পরিকল্পনা করে ওই শিশুকে ধর্ষণ করে। পরে ঠাণ্ডা মাথায় খুন করে। চার্জশিটে মূল ষড়যন্ত্রকারী হিসাবে কাঠুয়ার ‘‌দেবীস্থান’‌ (‌ছোট মন্দির)-এর কেয়ারটেকার সাঞ্জি রামের নাম রয়েছে। সাঞ্জি রামকে জিজ্ঞাসাবাদের পর  এ ঘটনায় পাঁচজন জড়িত বলে জানা যায়।

অভিযুক্তরা হলেন- পুলিশ অফিসার দীপক খাজুরিয়া ও সুরেন্দর বর্মা, তাদের বন্ধু প্রবেশ কুমার ওরফে মন্নু, সাঞ্জু রামের ছেলে বিশাল জানগোত্রা এবং তার  ভাস্তে।

প্রসঙ্গত কাঠুয়া ধর্ষণ কাণ্ডের বিভৎসতা সকলকে নাড়া দিয়েছে। ঘটনায় দোষীরা রেহাই পাবে না বলে আশ্বস্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর