হঠাৎ ব্যাংককে ফখরুল

হঠাৎ ব্যাংককে ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই হঠাৎ করেই ব্যাংকের উদ্দেশ্যে উড়াল দিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল স্ত্রী রাহাত আরা বেগমকে নিয়ে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন তিনি।  

সেখানকার বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসা নেবেন  মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। অথচ আগের দিন শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ধানমণ্ডির ফখরুদ্দিন কনভেনশন সেন্টারে জাতীয়তাবাদী প্রাক্তন ছাত্রকল্যাণ পরিষদ রংপুর মেডিকেল কলেজ শাখার আয়োজনে ইফতার মাহফিলে অংশ নেন তিনি।

 

ওই সময় তার ব্যাংকক যাত্রার বিষয়ে জানতো না কেউই, বিএনপি মহাসচিবও এ বিষয়ে জানান নি কিছুই। হঠাৎ করে মির্জা ফখরুলের ব্যাংকক যাওয়া নিয়ে ধোয়াশা তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক অঙ্গনে। শোনা যাচ্ছে পরস্পর বিরোধী দু’রকম কথাবার্তা।

বিএনপির একটি সূত্র জানিয়েছে, দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কারাবন্দি হওয়ার পর তার মুক্তির আন্দোলন এবং আসন্ন সংসদ নির্বাচন নিয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে বড় ধরনের মতবিরোধ দেখা দেয়।

বিষয়টি নিয়ে গেল দুই মাস ধরে চলছে বিতর্ক।  

তবে বিষয়টি নাকচ করে দেন মির্জা ফখরুল নিজেই। একাধিক সভা-সমাবেশে তিনি বলেন, ‘তারেক ও আমাকে নিয়ে যে খবর বের হয়েছে তা সত্য নয়। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়াম্যানের সাথে কোন প্রকার দ্বন্দ্ব  বা মত বিরোধের মতো ঘটনা ঘটেনি। ’

বিএনপি মহাসচিবের এই উক্তিতে বিষয়টি ধামাচাপা পড়লেও আবারও তা চাঙ্গা হয়ে ওঠেছে। এমনও কথা উঠছে, তারেক রহমানের যুক্তিহীন কিছু সিদ্ধান্তে ক্ষিপ্ত হয়ে বিএনপি ছাড়ছেন মির্জা ফখরুল। একটি গুরুত্বপূর্ণ  সময়ে চিকিৎসা নেওয়ার অজুহাতে বিএনপি মহসচিব ব্যাংকক হয়ে অন্য কোনো দেশে পাড়ি দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন।

অবশ্য এ ধরনের গুজবকে উড়িয়ে দিয়ে মির্জা ফখরুলের পরিবার থেকে বলা হয়, ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতেই দেশ ছেড়েছেন বিএনপি মহাসচিব। সেখানকার হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ভিসুটের অ্যাপয়েন্টমেন্টও নেয়া হয়েছে। ওই হাসপাতালে চিকিৎসা ও রুটিন চেকআপ শেষে আগামী সপ্তাহেই দেশে ফিরবেন তিনি।

অরিন/নিউজ টোয়েন্টিফোর

এই রকম আরও টপিক

সম্পর্কিত খবর