রাজধানী ঢাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩৬টি বেদখলী ও বুজে যাওয়া খাল খননের প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে, যা আগামী ২ বছরের মধ্যে শেষ হবে। আর এগুলো শেষ হলে ঢাকায় আর জলাবদ্ধতা থাকবে না।
আজ (২৮ জুন) সকালে জাতীয় সংসদে ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরের বাজেটে প্রস্তাবিত দায়মুক্ত ব্যয় ব্যতীত অন্যান্য ব্যয় সম্পর্কিত মঞ্জুরি দাবির ওপর ছাটাই প্রস্তাবের জবাবে একথা বলেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘ছাটাই প্রস্তাবের ওপর সংসদে বিরোধী দলসহ অনেক সংসদ সদস্য ঢাকায় জলাবদ্ধতার কথা বলেছেন।
এটা একটা বড় ধরনের সমস্যা। ড্রেনেজ ব্যবস্থা সঠিক না থাকায় এটা হচ্ছে। তবে আমরা গত ২ বছর যাবৎ ড্রেনেজ ব্যবস্থার ব্যাপক সংস্কারে কাজ করে চলেছি। পৌরসভা, সিটি করপোরেশন এবং ওয়াসা যৌথভাবে এ কাজ করে চলেছে।মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আমাদের মন্ত্রণালয় এখনো স্বাবলম্বী নয়। দেশে আমাদের মোট ৩ লাখের ওপর রাস্তা রয়েছে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীনে মোট রাস্তা ৩ লাখ ২১ হাজার ৪৬২ কিলোমিটার। এর মধ্যে ১ লাখ ১১ হাজার ৫২৮ কিলোমিটার রাস্তা পাকা। বাকি রাস্তা এখনো কাঁচা বা ইট বসানো। তাই জনগণের চাহিদা উত্তরোত্তর বাড়ছে। তাদের চাহিদা মেটাতে হিমসিম খাচ্ছি। স্থানীয় মন্ত্রণালয়ের অধীনে এ পর্যন্ত ১৯৪৪টি প্রকল্প চলমান। এ ছাড়াও বিদেশি সাহায্যপুষ্ট অনেক প্রকল্প রয়েছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে উপযুক্ত অর্থের প্রয়োজন। ’
তিনি আরও বলেন, ‘এসব রাস্তা এক বছরে ভেঙে যায় এ অভিযোগ ঠিক নয়। তবে হাইওয়ে ও গ্রামীণ রাস্তার মান এক রকম নয়। এসব রাস্তার লোড নির্ধারণ করা থাকে। কিন্তু সমস্যা এই যে, ছোট ছোট রাস্তায় বেশি লোডের গাড়ি ঢুকে পড়ে রাস্তা নষ্ট করে ফেলে। ’
অরিন/নিউজ টোয়েন্টিফোর