গোতাবায়াকে দেশ ছাড়তে দেয়নি বিমানকর্মীরা

সংগৃহীত ছবি

গোতাবায়াকে দেশ ছাড়তে দেয়নি বিমানকর্মীরা

অনলাইন ডেস্ক

বিমানবন্দরের কর্মীদের অসহযোগিতার জন্য দেশ ছাড়তে পারেননি শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজাপক্ষে। সূত্রের বরাত দিয়ে এএফপি মঙ্গলবার জানায়, নিরাপত্তার জন্য তিনি দেশত্যাগ করতে চাইলে ‘অপমানজনক’ পরিস্থিতির শিকার হন। আগেই পদত্যাগ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন রাজাপক্ষে, বুধবার ক্ষমতা ছাড়ছেন তিনি।

শ্রীলঙ্কায় নজিরবিহীন অর্থনৈতিক সংকটে চলমান ব্যাপক বিক্ষোভের জেরে ‘শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা স্থানান্তরের’ পথ বেছে নিয়েছেন রাজাপক্ষে।

শনিবার কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী সরকারি বাসভবন দখলে নেওয়ার কিছুক্ষণ আগেই ৭৩ বছর বয়সী এ নেতা সেখান থেকে পালিয়ে যান। এরপর দুবাই যেতে চাইলেও তা সম্ভব হয়নি।

রাষ্ট্রপতি হিসেবে রাজাপক্ষের গ্রেপ্তার এড়ানোর সুযোগ রয়েছে। তবে আটক হওয়ার সম্ভাবনা এড়াতে পদত্যাগ করার আগে বিদেশে যেতে চান বলে মনে করা হচ্ছে।

কিন্তু অভিবাসন কর্মকর্তারা তার পাসপোর্টে স্ট্যাম্প করার জন্য ভিআইপি স্যুটে যেতে অস্বীকার করেন। কিন্তু বিমানবন্দর ব্যবহারকারীদের প্রতিশোধের ভয়ে প্রকাশ্য স্থানে তিনি আসতে চাননি।

রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজাপক্ষ ও তার স্ত্রী সংযুক্ত আরব আমিরাতের চারটি ফ্লাইট মিস করার পরে প্রধান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পাশে একটি সামরিক ঘাঁটিতে রাত কাটান।

রাজাপক্ষের ছোট ভাই বাসিল এপ্রিলে অর্থমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। মঙ্গলবার ভোরে বিমানবন্দরের কর্মীদের কাছে তিনিও একই রকম ব্যবহার পান ও এমিরেটসের ফ্লাইটে উঠতে পারেননি। বাসিল ব্যবসায়িক ভ্রমণকারীদের জন্য নির্ধারিত বিশেষ নিরাপত্তা পরিষেবা ব্যবহারের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন এ সময়।

বিমানবন্দরের এক কর্মকর্তা এএফপিকে বলেছেন, আরও কিছু যাত্রী ছিলেন, যারা তাদের ফ্লাইটে বাসিলের ওঠার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিলেন। এমন উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতিতে তিনি দ্রুত বিমানবন্দর ছেড়ে চলে যান।

এ দিকে সরকারি সূত্র জানায়, রাজাপক্ষে রাজকীয় প্রাসাদে সুটকেসভর্তি টাকা ফেলে গেছেন, যা কলম্বো আদালতের হেফাজতে রয়েছে।

গোতাবায়ার অবস্থান সম্পর্কে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করেনি রাষ্ট্রপতির কার্যালয়। তবে একটি প্রতিরক্ষা সূত্র জানিয়েছে, নৌবাহিনীর জাহাজ ভারত বা মালদ্বীপে যাওয়ার চেষ্টাই একমাত্র বিকল্প পথ এখন।

news24bd.tv/আলী