ফুটফুটে শিশু আব্দুর রহিম। প্রথম দেখাতেই যে কারো নজর কাড়বে। কিশোরী মায়ের অসহায় শিশু সে। জন্ম থেকে মায়ের আদরের কোন ঘাটতি না থাকলেও বাবার স্নেহ বঞ্চিত। কে তার বাবা? সে প্রেশ্নের জবাব নেই কিশোরী মা কিংবা তার স্বজনদের কাছে। বাবার মুখ দেখেনি ছোট্ট শিশু আব্দুর রহিম। জন্মের ১০ মাস অতিবাহিত হলেও এখনো মিলেনি তার পিতৃ পরিচয়।
পিরোজপুরের স্বরূপকাঠির বাররা গ্রামে গত বছরের নভেম্বর মাসে কোন এক সুন্দর ভোরে জন্ম নেয় ছোট্ট এক ফুটফুটে শিশু।
গত বছরের ফেব্রুয়ারী মাসের কোন এক দিনে ওই প্রতিবন্ধী কিশোরী গণধর্ষণের শিকার হয়। ঘটনার প্রায় ৫ মাস অতিবাহিত হলে কিশোরীর পরিবার শারীরিক গঠন দেখে পরিবারের লোকজনের সন্দেহ হয়। পরে ডাক্তারী পরীক্ষা শেষে জানা যায়, কিশোরী ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ।
পরে এঘটনায় কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে নেছারাবাদ থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করলে বেড়িয়ে আসে স্কুল পড়ুয়া ইমন শেখ,উজ্জল হোসেন,তারা তালুকদার,শোয়েব হোসেন,মোরসালিন ও মোকবুল সহ ৬ কিশোরের নাম। যাদের বয়স ১৬ থেকে ১৭। তারা সবাই শিক্ষার্থী। তাদেরকে আসামী করে পিরোজপুরের নেছারাবাদ থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন ঈশার বাবা আর দাবী করেন এর সুষ্ঠ বিচার।
তবে ধর্ষণ মামলার ৬ আসামীর পরিবারের দাবি তাদের ছেলেরা নির্দোষ। অন্যায় ভাবে ফাঁসানো হয়েছে দাবি করে সঠিক তদন্ত চান তারা।
নিরাপরাধ শিশু ও তার মাকে যেনো সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হতে না হয় সে ব্যাপারে প্রশাসনের কঠোর ভূমিকা দাবী করছেন এলাকাবাসী। পাশাপাশি ধর্ষকদের যথাযথ বিচার দাবী করছেন তারা।
শুধু মুখ বুজে কান্না আর বিচারের দাবি নিয়ে প্রশাসনের দুয়ারে দুয়ারে ছুঁটছেন আব্দুর রহিমের নানা হান্নান মিয়া। এদিকে মামলার এক বছরের বেশি সময় পার হলেও পুলিশ বলছে তদন্ত চলছে। নিস্পাপ আব্দুর রহিম ফিরে পাবে তার পিতৃ পরিচয় পাশাপাশি ভবিষ্যতে এ জাতীয় ঘটনার পূনরাবৃতি না ঘটুক এ দাবী এলাকার সচেতন মহল আর সমাজসেবীদের।
news24bd.tv/আলী