সারাদেশে জুয়েলারি শিল্পের চলমান সংকট, দেশি বিদেশি চোরাকারবারিদের দৌরাত্ম্য ও জুয়েলারি ব্যবসায়ী হত্যার বিচারের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ জুয়েলার্স এসোসিয়েশন (বাজুস)
আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর বসুন্ধরা সিটির বাজুস কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন এন্টি স্মাগলিং এন্ড ল এনফোর্সমেন্ট আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সারাদেশে জুয়েলারি শিল্পের চলমান সঙ্কট ও সমস্যা, দেশি-বিদেশি চোরাকারবারি সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য, অর্থপাচার ও চোরাচালান বন্ধে কাস্টমসসহ সকল আইন-প্রয়োগকারী সংস্থার জোরালো অভিযানের দাবি জানিয়ে গত ১৩ আগস্ট ঐতিহ্যবাহী বাণিজ্য সংগঠন বাজুস সংবাদ সম্মেলনে মিলিত হয়েছিলো। এই সংবাদ সম্মেলনের পর আইন প্রয়োগকারি সংস্থাগুলো ব্যাপক তৎপরতা শুরু করেছে। বাজুসের আহবানে বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড- এনবিআরের কাস্টমস বিভাগ ও অন্যান্য আইন প্রয়োগকারি সংস্থাগুলো ব্যাপক সাড়া দেওয়ায় আমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে জুয়েলারি দোকানে চুরি ও প্রকাশ্যে ডাকাতির ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত ১ আগস্ট গভীর রাতে ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলার কলাতিয়া বাজারের মন্দির মার্কেটের কাঁকন জুয়েলার্সে চুরির ঘটনা ঘটেছে। চোরের দল দোকান থেকে প্রায় ১৫০ ভরি স্বর্ণের ও দুই কেজি রূপার গহনা চুরি করে নিয়ে যায়। গত ২৯ জুলাই মিরপুরের রূপনগরে রজনিগন্ধা মার্কেটে দিন দুপুরে নিউ বিসমিল্লাহ জুয়েলার্সে চুরির ঘটনা ঘটেছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, আমরা ঘটনাগুলো দ্রুততার সাথে তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের শাস্তির আওতায় আনা এবং চুরিকৃত স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা উদ্ধারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি। একই সাথে সারা দেশের জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তা জোরদার করার অনুরোধ জানাচ্ছি। বাজুস মনে করে- সারাদেশে শান্তি, শৃঙ্খলা রক্ষা ও সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গৌরবোজ্জল ভূমিকা রয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী রাষ্ট্রের শৃঙ্খলা ও ব্যবসায়িক সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে বাজুসের ৪০ হাজার সদস্যকে বিমার আওতায় আনা হবে বলেও জানানো হয়।