শখের স্মার্টফোন কিনতে যা করলেন কিশোরী

প্রতীকী ছবি

শখের স্মার্টফোন কিনতে যা করলেন কিশোরী

অনলাইন ডেস্ক

দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন স্মার্টফোন কেনার। যেই ভাবা সেই কাজ। প্রতিবেশীর মাধ্যমে অনলাইনে অর্ডারও দেওয়া হয়ে গেছে। কিন্তু টাকা জোগাড় হবে কীভাবে? দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ুয়া ওই কিশোরী নিজের রক্ত বিক্রি করে টাকা জোগাড় করার সিদ্ধান্ত নেন।

গেলেন হাসপাতালে। কিন্তু কিশোরীর রক্ত বিক্রি করার কারণ শুনে চমকে যান হাসপাতালের কর্মীরা। গত সোমবার এমন ঘটনা ঘটে ভারতের বালুরঘাটে।

এ ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায় বালুরঘাট জেলা হাসপাতাল চত্বরে।

১৭ বছরের একটি মেয়ে ‘রক্তদান’ করতে এসেছে দেখে সন্দেহ হয় হাসপাতালের কর্মীদের। রক্ত বিক্রি আইনত নিষিদ্ধ করেছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। এছাড়া কিশোরীর রক্ত বিক্রি করার কারণ শুনে আরও চমকে যান হাসপাতালের কর্মীরা।  শেষে তাকে আটক করে তুলে দেওয়া হয় বালুরঘাট চাইল্ডলাইনের হাতে।  

চাইল্ডলাইনের কর্মীদের মাধ্যমে ওই কিশোরীর বাড়িতে খবর পৌঁছয়। পরে চাইল্ডলাইনের তরফে চাইল্ড ওয়েলফেয়ারের কাছে ওই নাবালিকাকে কাউন্সেলিংয়ের জন্য পাঠানো হয়। গতকাল মঙ্গলবার মেয়ের সঙ্গে তার বাবা-মায়েরও কাউন্সেলিং হয়। পরে তাদের ছেড়েও দেওয়া হয়।

ওই কিশোরীর বাবা বলেন, 'একটা ছোট মোবাইল ছিল বাড়িতে। কিন্তু স্মার্টফোনের কথা আমাকে কখনও জানায়নি মেয়ে। ও কেন আর কারই বা কথা শুনে রক্ত বিক্রি করতে এল তা বুঝতে পারছি না। '

এ নিয়ে বালুরঘাটে রক্ত সংগ্রহ কেন্দ্রের কাউন্সিলর কণককুমার দাস বলেন, 'সকালে একটি নাবালিকা এসে বলে রক্ত বিক্রি করতে এসেছি। যা শুনে কর্মীরা হতবাক হয়ে যান। এর পরে তাকে ঘরের ভেতরে বসিয়ে কথা বলা হয়। সে রক্ত বিক্রির বিভিন্ন কারণ বলতে থাকে। শেষে বোঝা যায়, মোবাইলের টাকা জোগাড় করতেই রক্ত বিক্রি করতে এসেছে মেয়েটি। '

দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ুয়া ওই ছাত্রীর বাবা সব্জি বিক্রেতা। মা শারীরিকভাবে খুব অসুস্থ। এ ছাড়া তার একটি ভাই আছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই ছাত্রী জানিয়েছে, প্রতিবেশী এক জনের মোবাইল থেকে একটি স্মার্ট ফোনের অর্ডার দিয়েছে সে। এই সপ্তাহেই সেই মোবাইল আসার কথা। কিন্তু মোবাইলে টাকা জোগাড় করতে সমস্যায় পড়েছিল।

ওই ছাত্রী আরও জানায়, 'ভেবেছিলাম রক্ত দিলে টাকা পাওয়া যায়। তাই সোজা করদহ থেকে বাসে চেপে বালুরঘাট হাসপাতালে আসি। '

সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।

news24bd.tv/রিমু