উত্ত্যক্তকারী এক যুবককে জুতাপেটা করলেন পুলিশের এক নারী কনস্টেবল। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে খুলনার কয়রা উপজেলায় এ ঘটনা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ঈদের ছুটিতে বাড়িতে আসা নারী কনস্টেবলের ভাই আরাফাত হোসেন কয়রা বাজারের তিন রাস্তা মোড়ে দাঁড়িয়ে ছিল। এ সময় ছাত্রলীগ সভাপতি দিদারের মোটরসাইকেল বহর সেখান দিয়ে যাওয়ার সময় কাদা ছিটায়।
এর প্রতিবাদ করায় আরাফাতকে মারধর করে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।দুপুরে ওই নারী কনস্টেবল থানায় যাওয়ার সময় তাকে উত্ত্যক্ত করে ছাত্রলীগ সভাপতি দিদার। প্রতিবাদ করলে নারী কনস্টেবলের দিকে এগিয়ে আসে দিদার। এ সময় দিদারকে ধরে জুতাপেটা করেন নারী কনস্টেবল।
বিকেল চারটার দিকে নারী কনস্টেবলের চাচাশ্বশুর আইয়ুব আলী কয়রা বাজারে এলে তাকে তুলে নিয়ে যায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। কপোতাক্ষ কলেজের ভেতরে নিয়ে আইয়ুব আলীকে হাতুড়িপেটা করে ছাত্রলীগ নেতা দিদার। তার চিৎকারে বাজারের ব্যবসায়ী ও পথচারীরা কলেজ গেটের সামনে জড়ো হয়।
পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত আইয়ুব আলীকে উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে পুলিশ। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে পরবর্তীতে ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে একটি মিছিল বের করা হলে বাজারে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে পুলিশ।
পুলিশের ওই নারী কনস্টেবল বলেন, ছাত্রলীগ সভাপতি দিদার দীর্ঘদিন ধরে আমাকে অনৈতিক প্রস্তাব দিয়ে উত্ত্যক্ত করছিল। কিন্তু সম্মানের ভয়ে এতদিন নিরবে সহ্য করি। আজ থানায় আসার পথে আবারও আমাকে উত্ত্যক্ত করে দিদার। তাই তাকে জুতাপেটা করেছি।
উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মেহেদি হাসান দিদার বলেন, মাসুদ নামে এক মাদক ব্যবসায়ী বাজারে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের অকথ্য ভাষায় গালি দেয়। এতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাকে ধাওয়া দেয়। পরে মাসুদের স্ত্রী ওই নারী কনস্টেবল আমার সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন।
কয়রা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারক বিশ্বাস বলেন, উত্ত্যক্ত করেছে কিনা আমি জানি না। তবে ওই নারী কনস্টেবলের সঙ্গে ছাত্রলীগ নেতা দিদারের একটু ঝামেলা হয়েছে। পরে বিষয়টি সমাধান হয়ে যায়।
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)