মসজিদের উদ্বোধনী ফলকে মুরাদের নাম না থাকায় অনুসারীদের তাণ্ডব

সংগৃহীত ছবি

মসজিদের উদ্বোধনী ফলকে মুরাদের নাম না থাকায় অনুসারীদের তাণ্ডব

অনলাইন ডেস্ক

জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে মডেল মসজিদের উদ্বোধনী ফলকে এমপির নাম না দিয়ে কেবল প্রধানমন্ত্রীর নাম দেওয়ায় তরফদার ট্রেড করপোরেশনের প্রকল্প প্রকৌশলী মাসুদুর রহমান জনি (৩২), নির্মাণ প্রকল্পের সুপারভাইজার মো.রকিব (৩০), ঠিকাদারের কর্মচারী ওসমান গণি বিপুল (২৮) এবং সৌরভকে (২৫) বেধড়ক মারধর করে আহত করার অভিযোগ উঠেছে সাবেক প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানের অনুসারী সাখাওয়াত হোসেন মুকুল এবং সহযোগীদের বিরুদ্ধে। সোমবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে সরিষাবাড়ির মডেল মসজিদ উদ্বোধনকালে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, সরিষাবাড়ী উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণের কাজ পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মির্জা এন্টারপ্রাইজ ও তরফদার ট্রেড করপোরেশন।

তরফদার ট্রেড করপোরেশনের সত্ত্বাধিকারী মঞ্জুরুল মোর্শেদ তরফদার সোহেল বলেন, সোমবার সরিষাবাড়ি উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধনের আয়োজন করা হয়, যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করেন।

স্থানীয় এমপি ডা. মুরাদ হাসান তিন বছর আগে মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। মসজিদের নির্মাণকাজ শেষ হলে গণপূর্তের নির্দেশনা মোতাবেক ডা. মুরাদের নামফলক সরিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্বোধনী নামফলক স্থাপন করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সময় সংসদ সদস্য ডা. মুরাদের নাম ফলক না থাকায় তার সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এ সময় ডা. মুরাদ হাসানের প্রতিনিধি সাখাওয়াত আলম মুকুল ও সমর্থক সুমন চাকলাদারের নেতৃত্বে প্রায় ৪০ জন কর্মী-সমর্থক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রকল্প প্রকৌশলী মাসুদুর রহমান জনি (৩২), স্যানেটারি সুপারভাইজার রাকিব (৩০), ইলেক্ট্রিক্যাল সুপারভাইজার বিপুল (২৮), তাদের সহকারী সৌরভ (২১) ও নৈশ প্রহরী তোফাজ্জলকে (৫৫) মারধর করে।
পরে তাদের উদ্ধার করে সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় প্রকৌশলী জনি ও সুপারভাইজার রাকিবকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।

মঞ্জুরুল মোর্শেদ তরফদার সোহেল আরও বলেন, মারধরের প্রমাণ বিনষ্ট করতে তাদের লোকজন সিসিটিভি ক্যামেরার মনিটর ও হার্ডডিস্ক খুলে নিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হবে।

সংসদ সদস্য ডা. মুরাদ হাসানের প্রতিনিধি সাখাওয়াত আলম মুকুল বলেন, ডা. মুরাদ হাসানের নামে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর লক্ষ্যে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এসব বলা হচ্ছে। আমি এই ঘটনার সাথে জড়িত না। ছবি তোলাকে কেন্দ্র করে হট্টগোল হয়েছিল। আমি নিজে গিয়ে প্রকৌশলী জনিকে রক্ষা করেছি।

এমপির নামফলক সরিয়ে ফেলার বিষয়ে জানতে চাইলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে জানানো হয় গণপূর্ত বিভাগ সরিয়ে ফেলতে নির্দেশনা দিয়েছে। আর গণপূর্তের কর্মকর্তাদের কাছে জানতে চাইলে তারা নামফলক সারানোর বিষয়ে কিছু জানেন না বলে জানান।

সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ মহব্বত কবীর জানান, মসজিদের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়েছিল। আমাদের সামনে কোনো মারাধরের ঘটনা ঘটেনি। এ বিষয়ে এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।

news24bd.tv/আলী