আ'লীগ নেতাসহ একে একে মারা গেলেন পাঁচজন

আ'লীগ নেতাসহ একে একে মারা গেলেন পাঁচজন

অনলাইন ডেস্ক

কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে একসঙ্গে দাওয়াত খেতে গিয়েছিলেন আওয়ামী লীগের তিন নেতাসহ কয়েকজন শনিবার রাতে বাড়ি ফেরার পর একে একে অসুস্থ হয়ে পড়েন ছয়জন। এ ঘটনায় সোমবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত আওয়ামী লীগের দুই নেতাসহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।

অসুস্থ আরেকজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন। তাদের একজনের সুরতহাল প্রতিবেদনে অ্যালকোহল জনিত বিষক্রিয়ার কথা বলা হয়েছে।

মৃত পাঁচজন হলেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন (৫৫) ও জহির রায়হান জজ (৫৫), কুলিয়াচর বাজারের হোমিও চিকিৎসক গোবিন্দ চন্দ্র বিশ্বাস (৫০), উপজেলা আওয়ামী লীগ অফিসের সামনের চা দোকানদার লিটন মিয়া (৪৫), গিয়াস ও জহিরের গাড়িচালক শাহজাহান মিয়া (৫০)।

এ ছাড়া কুলিয়ারচর পৌরসভার প্যানেল মেয়র হাবিবুর রহমানকে ঢামেক হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

পুলিশ ও মৃতদের স্বজনরা জানান, রোববার রাত ৯টার দিকে ডা. গোবিন্দকে ভাগলপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভোর ৪টার দিকে একই হাসপাতালে ভর্তি করা হয় আওয়ামী লীগ নেতা গিয়াস ও জহিরকে।

সেখান থেকে ঢাকায় নেওয়ার পথে ভোর ৪টার দিকে জহির এবং ৫টার দিকে হাসপাতালে গিয়াসের মৃত্যু হয়। ডা. গোবিন্দ মারা যান সকাল ১০টার দিকে।

এ ছাড়া গাড়িচালক শাহজাহান শনিবার রাতেই নিজ বাড়িতে মারা গেছেন বলে জানা গেছে। আর আজ বিকেল ৫টার দিকে লিটন মারা যান।

আওয়ামী লীগ নেতা গিয়াসের ছোট ভাই সামসুদ্দিন হিমেল জানান, তাঁর ভাই রোববার সন্ধ্যা থেকেই অসুস্থ বোধ করছিলেন। গভীর রাতে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।

ভাগলপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মোহাম্মদ সেলিম জানান, হাসপাতালের রেজিস্টার অনুযায়ী, আওয়ামী লীগ নেতা গিয়াস উদ্দিন বিষাক্ত মদপান করে অসুস্থ হওয়ায় ভর্তি হন। আর জহিরকে ভর্তি না করে ঢাকায় পাঠানো হয়।

স্থানীয় কয়েকজন জানান, অসুস্থ সবার মদপানে আসক্তি ছিল। মদের বিষক্রিয়ায় তাঁদের মৃত্যু হতে পারে বলে তাঁদের ধারণা। তবে ওই রাতে তাঁরা মদ পান করেছিলেন কিনা তা কেউ নিশ্চিত করতে পারেননি।

কুলিয়ারচর থানার ওসি মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা বলেন, গিয়াস ও জহিরের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জে পাঠানো হয়েছে। কি কারণে মৃত্যু হয়েছে তা ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে জানা যাবে।

বাজিতপুর থানার ওসি শফিকুল ইসলাম জানান, জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বাজিতপুর থানার অধীনে হওয়ায় তাঁরা সুরতহাল প্রতিবেদন করেছেন।

বাজিতপুর থানার এসআই জয়নাল আবেদীন সুরতহাল প্রতিবেদনে গিয়াসের মৃত্যুর জন্য মদের বিষক্রিয়ার কথা উল্লেখ করেছেন। বাকি চারজনের মৃত্যু বিষয়ে কিছু বলা হয়নি।

কিশোরগঞ্জের এসপি রাসেল শেখ জানান, একজনের সুরতহালে অ্যালকোহল জনিত বিষক্রিয়ার কথা বলা হলেও অন্যদের বিষয়ে এখনই কিছু বলা যাবে না।

news24bd.tv/কামরুল