সাংবাদিক দীপঙ্কর চক্রবর্তী হত্যাকাণ্ডের ১৪তম বার্ষিকীর স্মরণ সভায় বক্তারা বলেছেন, দীর্ঘদিন পর পুলিশ এই হত্যাকাণ্ডে জঙ্গি সম্পৃক্ততা দেখিয়ে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করলেও তা নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। তার পরিবার বা সহকর্মীদের সেসব প্রশ্নের উত্তর না মিললে এই খুনের সঠিক বিচার হবে না। এ কারণে প্রকৃত ঘাতকদের চিহ্নিত করে তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।
আজ (২ অক্টোবর, মঙ্গলবার) বেলা ১২টায় বগুড়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত স্মরণসভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
বিইউজে সভাপতি আমজাদ হোসেন মিন্টুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জে এম রউফের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের(বিএফইউজে) নির্বাহী সদস্য ও বগুড়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল আলম নয়ন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আরিফ রেহমান, সিনিয়র সাংবাদিক সমুদ্র হক, চপল সাহা, শফিউল আযম কমল, মাসুদুর রহমান রানা, মোহন আখন্দ, এসএম কাওসার, কমলেশ মোহন্ত সানু, সবুর আল মামুন, আসাফ উদ দৌলা ডিউক, প্রদীপ মোহন্ত, মামুন উর রশিদ, গৌরব চন্দ্র দাস, এম সারওয়ার খান, ফরহাদ শাহী, মেহেরুল সুজন, ইলিয়াস হোসেন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, দীপঙ্কর চক্রবর্তী ছিলেন একজন নির্বিবাদী মানুষ। অথচ তাকেই কিনা ২০০৪ সালের এই দিনে নিজ কর্মস্থল থেকে বাড়ি ফেরার পথে দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে হত্যা করলো!
ওই হত্যাকাণ্ডের পর তৎকালীন শীর্ষ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ থেকে শুরু করে পুলিশ প্রশাসন হত্যাকারীদের চিহ্নিত করার দাবি করলেও সেটি ছিলো প্রহসন।
এরপর কয়েক দফা আদালতে চূড়ান্ত রিপোর্ট দাখিল করে পুলিশসহ তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। সর্বশেষ গেল বছর পুলিশ এই হত্যাকাণ্ডে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জেএমবি’র সম্পৃক্ততার বিষয়টি সামনে এনে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
বক্তারা আরও বলেন, যারাই এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকুক না কেন, তাদের আইনের আওতায় এনে দ্রুত বিচার নিষ্পত্তি করতে হবে।
সভায় সাংবাদিক দীপঙ্ক চক্রবর্তীর নামে স্মৃতি পুরস্কার প্রদানের ঘোষণা দেওয়া হয়।
রউফ▐ অরিন▐ NEWS24
