পি কে হালদারের বিরুদ্ধে ৩৬ মামলা, প্রথম রায় আজ

সংগৃহীত ছবি

পি কে হালদারের বিরুদ্ধে ৩৬ মামলা, প্রথম রায় আজ

অনলাইন ডেস্ক

ভারতের কারাগারে বন্দি গ্লোবাল ইসলামী (সাবেক এনআরবি গ্লোবাল) ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন, অর্থপাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগে এ পর্যন্ত তিন ৩৬টির মতো মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এর মধ্যে ৪২৫ কোটি ৭৬ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং তা পাচারের অভিযোগে প্রথম রায় হচ্ছে আজ রোববার (৮ অক্টোবর)।  

ঢাকার বিশেষ জজ আদালতে-১০-এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের আদালতে মামলার রায় ঘোষণার কথা রয়েছে।  

এই মামলায় পি কে হালদারসহ মোট আসামি ১৪ জন।

এর মধ্যে চারজন কারাগারে আছেন। তারা হলেন অবন্তিকা বড়াল, শংখ বেপারী, সুকুমার মৃধা ও অনিন্দিতা মৃধা।

পি কে হালদারসহ বাকি ১০ আসামি পলাতক। পলাতক অন্য আসামিরা হলেন পি কে হালদারের মা লিলাবতী হালদার, ভাই প্রিতীশ কুমার হালদার, সহযোগী অমিতাভ অধিকারী, পূর্ণিমা রানি হালদার, উত্তম কুমার মিস্ত্রি, রাজিব সোম, সুব্রত দাস, অনঙ্গ মোহন রায় ও স্বপন কুমার মিস্ত্রি।

আসামিদের বিরুদ্ধে ৪২৫ কোটি ৭৬ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৪ সালের দুদক আইনের ২৭(১) ধারায় এবং সেই সম্পদ পাচারের অভিযোগে ২০১২ সালের মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ৪(২)(৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। দুটি অভিযোগের মধ্যে দুদক আইনের ২৭(১) ধারায় সর্বোচ্চ শাস্তি ১০ বছর এবং মানি লন্ডারিং আইনের ৪(২) ধারায় সর্বোচ্চ ১২ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।

এর আগে ৪ অক্টোবর এই মামলায় দুদক ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়। ওই দিন আদালত রায়ের জন্য ৮ অক্টোবর দিন ধার্য করেন।

২০ জুলাই এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। চার্জশিটভুক্ত ১০৬ জন সাক্ষী থাকলেও দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মোট ১১৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত। এরপর ২৬ জুলাই কারাগারে থাকা চার আসামি ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৪২ ধারায় আত্মপক্ষ সমর্থনে নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার চান। তবে পি কে হালদারসহ বাকিরা পলাতক থাকায় তারা আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য রাখেননি। এরপর মামলাটিতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য এই দিন ধার্য করা হয়।

মামলার বিবরণীতে জানা যায়, ২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি প্রায় ২৭৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পি কে হালদারের বিরুদ্ধে দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করেন সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী।

মামলার এজাহারে বলা হয়, পি কে হালদার বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসার মাধ্যমে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ ২৭৪ কোটি ৯১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৫৫ টাকার অবৈধ সম্পদ নিজ দখলে রেখেছেন। যা দুদক আইন, ২০০৪-এর ২৭(১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ওই অপরাধলব্ধ আয়ের অবৈধ উৎস, প্রকৃতি, অবস্থান, মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ, উৎস গোপন বা আড়াল করতে স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তর করে মানি লন্ডারিং সংক্রান্ত অপরাধ করেছেন।

এরপর ২০২২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি মামলাটি তদন্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন দুদকের উপপরিচালক মো. সালাহউদ্দিন। চার্জশিটে তার বিরুদ্ধে প্রায় ৪২৬ কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও পাচারের অভিযোগ আনা হয়। এ ছাড়া তিনি কানাডায় এক কোটি ১৭ লাখ কানাডিয়ান ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৮০ কোটি টাকা) পাচার করেছেন বলে তথ্য দেওয়া হয়। তদন্তকালে তার বিরুদ্ধে ছয় হাজার কোটি ৮০ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগ পায় দুদক।

news24bd.tv/আইএএম