পোশাক খাতে নারী নেতৃত্ব এগিয়ে নিতে সমন্বিত প্রচেষ্টার প্রয়োজন: আইএলও

সংগৃহীত ছবি

পোশাক খাতে নারী নেতৃত্ব এগিয়ে নিতে সমন্বিত প্রচেষ্টার প্রয়োজন: আইএলও

অনলাইন ডেস্ক

অন্তর্ভুক্তিমূলক শিল্প এবং টেকসই ব্যবসার জন্য পোশাক খাতে নারী নেতৃত্বকে এগিয়ে নিতে সমন্বিত প্রচেষ্টার প্রয়োজন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। শনিবার (৯ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত ‘জেন্ডার ইকুয়ালিটি অ্যান্ড রিটার্নস: অ্যাডভান্সিং উইমেন লিডারশিপ, স্কিল ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড প্রোডাক্টিভিটি ইন দ্য সাপ্লাই চেইন’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে বক্তারা এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানটিতে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) ও আন্তর্জাতিক ফাইন্যান্স করপোরেশন (আইএফসি) পরিচালিত ‘জেন্ডার ইকুয়ালিটি অ্যান্ড রিটার্নস’ বা গিয়ার-এর  উদ্যোগের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়। বেটার ওয়ার্ক প্রোগ্রামের আওতায় পরিচালিত গিয়ার উদ্যোগটি ২০১৬ সাল থেকে ৮০০ কর্মীকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে, যার মধ্যে ৫২৮ জন সুপারভাইজারে উন্নীত হয়েছেন।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, কারখানার মালিক, ক্রেতা, উন্নয়ন অংশীদার, একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক পোশাক খাত তৈরিতে জাতিসংঘ সংস্থা এবং সুশীল সমাজসহ সবাইকে একসঙ্গে কাজ করা প্রয়োজন।

বাংলাদেশে আইএলও-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর তুওমো পাউটিয়াইনেন লিঙ্গ সমতার তাৎপর্য তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশের পোশাক খতে আমার ভাল অগ্রগতি দেখতে পাচ্ছি। এই খাতকে আরও টেকসই উন্নয়নে লিঙ্গ সমতা, নারীর দক্ষতা ও ক্ষমতায়ন প্রয়োজন।

বাংলাদেশে কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং সিক বলেন, গিয়ারের মতো গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগগুলোর সঙ্গে কাজ করতে পেরে আমরা গর্বিত।

এখানে লিঙ্গ সমতার অগ্রগতি অনেককে অনুপ্রাণিত করছে।

ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের লেবার অ্যাটাচে লীনা খান বলেন, গিয়ার প্রোগ্রামে যারা অংশ নিয়েছেন তারা নিজের উন্নতির পাশাপাশি, ব্যবসায়ও উন্নতি করছেন। পোশাক শিল্পে কর্মীদের অধিকার উন্নত করতে এবং খাতটিকে আরও প্রতিযোগিতামূলক করতে সরকার, মালিক, শ্রমিক এবং ব্র্যান্ডগুলোর সঙ্গে প্রোগ্রামটি খুব ভালভাবে কাজ করছে।

গিয়ার প্রোগ্রামের অংশগ্রহণকারীদের নিয়ে পরিচালিত একটি ফ্যাশন শো দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয়।

news24bd.tv/আইএএম

এই রকম আরও টপিক