ঢাকায় ইকোপার্ক ও ২৫ কিমি ওয়াকওয়ের কাজ শেষ, বাকি কাজ জুনের ভেতর

ফাইল ছবি

নদীরক্ষা প্রকল্প

ঢাকায় ইকোপার্ক ও ২৫ কিমি ওয়াকওয়ের কাজ শেষ, বাকি কাজ জুনের ভেতর

অনলাইন ডেস্ক

নদী রক্ষা প্রকল্পের ৭০ ভাগ কাজ শেষ পর্যায়ে। ইতোমধ্যে তিনটি ইকোপার্ক ও ২৫ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। আগামী ২০২৪ সালের জুন মাস নাগাদ বাকি কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান।

ঢাকার চারপাশের নদীর দুই পাড়ের ২শ’ ২০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে সাড়ে ৭ হাজার স্থায়ী সীমানা পিলারের মধ্যে ইতিমধ্যেই মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার পিলার।

৫২ কিলোমিটার ওয়াকওয়ের মধ্যে দৃশ্যমান হয়েছে ২৫ কিলোমিটার। যা ঢাকার বুড়িগঙ্গা, তুরাগকে করেছে দৃষ্টিনন্দন ও পর্যটনবান্ধব। বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, শীতলক্ষ্যা ও বালু নদীর তীরভূমিতে পিলার স্থাপন, তীররক্ষা, ওয়াকওয়ে ও জেটিসহ আনুষঙ্গিক অবকাঠামো নির্মাণ (২য়পর্যায়) (১ম সংশোধিত) প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক আবু জাফর মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ কবির জানান দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে ২০১৮ সালের জুলাই মাসে, কাজ সমাপ্তির মেয়াদ রয়েছে আগামী ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত। সূত্র, বাসস।

তিনি বলেন, এ সময়ের মধ্যে ২০১৯ ও ২০২০ সাল টানা দুই বছরের অবৈধ দখলমুক্ত করা ও নদী রক্ষার শক্তিশালী অভিযানে গুড়িয়ে দেয়া হয়েছিল প্রায় ১১ হাজার নদী দখলদারের অবৈধ স্থাপনা। উদ্ধার হয়েছে নদীর দখলকৃত প্রায় সাড়ে ৩শ একর জায়গা। নদী রক্ষার এই কাজের টেকসই বন্দোবস্ত করতে চলছে প্রায় ১১শ ৮১ কোটি ১০ লাখ টাকার তীর রক্ষা প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ। ৫২ কিলোমিটার ওয়াকওয়ের মধ্যে কীওয়াল বাখাড়াপাড় করা হচ্ছে ১০ কিলোমিটার। ওয়াক অন পাইল বা পিলার আকৃতির করা হচ্ছে প্রায় ১৮ কিলোমিটার। এর ফলে ঢাকার চারপাশের নিচু ভূমিতে পানির অবাধ প্রবাহ অব্যাহত থাকবে। আর বাকি ২৪ কিলোমিটার করা হচ্ছে ব্যাংক প্রটেকশন বা স্লোপ আকৃতির। লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ১৪টি আরসিসিজেটির মধ্যে শেষ হয়েছে ৮টির কাজ, ৮০টি আরসিসিসিড়ির মধ্যে দৃশ্যমান হয়েছে ৪৫টি।

এছাড়া ঢাকা, টঙ্গী ও নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দর এলাকায় শেষ হয়েছে তিনটি পরিবেশবান্ধব ইকোপার্ক নির্মাণের কাজ যা নদী তীরে আসা মানুষকে সবুজাভ পরিবেশ পেতে সহায়তা করছে। একই সাথে সদরঘাট ও কেরানিগঞ্জে খেয়াপারাপারের জন্য ৪টি ঘাটের তিনটির কাজই শেষ। সব মিলিয়ে রাজধানীর চারপাশের নদীতীর রক্ষার এই প্রকল্পের অগ্রগতি হয়েছে ৭০ শতাংশ।

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বাসস’কে বলেন, এ কাজগুলো বাস্তবায়িত হলে ঢাকার চারপাশের নদী তার নিজের রূপে ফিরে এসে স্থায়ীভাবে দখলমুক্ত ও নিরাপদ থাকবে। সবুজে ঘেরা নদীকে ঘিরে সম্প্রসারিত হবে নৌবাণিজ্যিক কার্যক্রম। প্রকৃতির এই জীবন্ত সত্ত্বা ফিরে পাবে তার আসল রূপ। আজীবন যার সুফল পাবে ঢাকাবাসী।  

news24bd.tv/ডিডি