ফের সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা নব্য জেএমবির, গ্রেপ্তার ২

ছবিতে ইউসুফ ও জহিরুল

ফের সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা নব্য জেএমবির, গ্রেপ্তার ২

ফের সক্রিয় হয়ে হামলার পরিকল্পনা করছিল নিষিদ্ধ ঘোষিত এই জেএমবি সংগঠনটি। সংগঠনটির বর্তমান আমির মাহাদী হাসান জন তুরস্কে গ্রেপ্তার হলেও দেশে ভেতরে ভেতরে তারা সংগঠিত হচ্ছিল। এই তথ্য ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যশনাল ক্রাইম ইউিটের (সিটিটিসি) পায়।
এরই সূত্র ধরে রাজধানীর ডেমরা এলাকায় গোপন বৈঠকের তথ্য পেয়ে অভিযান চালিয়ে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এ সময় নব্য জেএমবির মুখপাত্র পত্রিকা নাবা, ১০ টি ডেটোনেটর, বেশকিছু ডকুমেন্টস উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত দুজন নতুন করে সক্রিয় হওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।  
তারা হলেন, ইউসুফ ও জহিরুল।
রোববার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান সিটিটিসির প্রধান মো. আসাদুজ্জামান।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়ংকর জঙ্গি সংগঠন নব্য জেএমবি। আর সবচেয়ে কালো অধ্যায় হলি আর্টিজানসহ অনেক হত্যাকাণ্ড ঘটনায় এই সংগঠনটি। এরপর ধারাবাহিক অভিযানে আমরা নব্য জেএমবির সকল নেটওয়ার্ক বিধ্বস্ত করেছিলাম। আমাদের সাঁড়াশি অভিযানের পর নেতৃত্বপর্যায়ের প্রায় সকলকে গ্রেপ্তারের পর আমরা ভেবেছিলাম নব্য জেএমবি নিশ্চিহ্ন হওয়ার পথে। কিন্তু সংগঠনের পরবর্তি আমির মাহাদী হাসান জন বিদেশে বসে পুনরায় সংগঠিত করার চেষ্টা করছিল।

তিনি আরও বলেন, আমাদের তথ্যের ভিত্তিতে তুরস্ক পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। তার অনুসারী কয়েকজনকে মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটা দেশে শনাক্ত করেছিলাম। আমাদের ধারাবাহিক তৎপরতায় গত অক্টোবর-নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসজুড়ে অন্তত ৭-৮ জনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই। মাহাদীর বাংলাদেশের নেটওয়ার্কের বিষয়ে আমরা আগে থেকেই অবগত ছিলাম, এর ভিত্তিতেই তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

যাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়, জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় তাদের নেতা ইউসুফ। তিনি সংগঠনে ইউসুফ হুজুর নামেই পরিচিত ছিলেন। অবশেষে ইউসুফ ও তার সহযোগী জহিরুল ইসলাম জহিরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সিটিটিসি প্রধান বলেন, আমরা যখনই ইউসুফের বিষয়ে তথ্য পাচ্ছিলাম, তখন খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে ইউসুফ ও আবু বকরকে একসঙ্গে ২০১৭ সালে গ্রেপ্তার করেছিল সিটিটিসি। সে সময় ইউসুফ হুজুর ছিলেন নেতা আর আবু বকর ছিলেন সংগঠনের অপারেশনাল কমান্ডার।

১৯ সালে জামিনে বেরিয়ে ইউসুফ সৌদি আরবে চলে যান। মাহাদী তুরস্কে অবস্থান করছিল, আগে থেকেই তার সঙ্গে ইউসুফের যোগাযোগ ছিলো। মাহাদী বিদেশে বসে সংগঠনকে সংগঠিত করার চেষ্টা করছিল। অনলাইনে এ দেশের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন ও নতুন সংগ্রহের চেষ্টা করছিল। তরুস্কে মাহাদীর গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়াটি টের পেয়ে ২০২২ এর মাঝামাঝি সময়ে ইউসুফ দেশে ফিরে আসেন।
মাহাদী তুরস্কে গ্রেপ্তার হওয়ার পর ইতোমধ্যে ইউসুফ সংগঠনের দায়িত্ব নেয়, এরপর ইউসুফের নেতৃত্বে অপারেশনাল পরিকল্পনা করতে থাকে। নভেম্বরের ১১ তারিখে সংগঠনের অপারেশনাল কমান্ডার আবু বকরকে গ্রেপ্তার করে সিটিটিসি। তাদের পূজায় বড় হামলার পরিকল্পনা করছিল, সে সময় আবু বকরের ডিভাইস থেকে এ ধরনের বিস্তারিত তথ্য পাই।  

news24bd.tv/ডিডি

এই রকম আরও টপিক