উপজেলা নির্বাচন: একগুচ্ছ প্রস্তাবে অনুমোদন ইসির

উপজেলা নির্বাচন: একগুচ্ছ প্রস্তাবে অনুমোদন ইসির

উপজেলা নির্বাচন: একগুচ্ছ প্রস্তাবে অনুমোদন ইসির

অনলাইন ডেস্ক

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে জামানত ১০ গুণ বাড়ানোর প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। পাশাপাশি সংঘাত এড়াতে মনোনয়নপত্র অনলাইনে জমাদান বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। বর্তমান নির্বাচন বিধিমালায় চেয়ারম্যান ১০ হাজার ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের জামানত পাঁচ হাজার টাকা।

অর্থাৎ ইসির এই প্রস্তাব পাস হলে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের জামানত এক লাখ টাকা ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীদের ৭৫ হাজার টাকা হতে যাচ্ছে।

মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে ২৮তম কমিশন সভায় এই সিদ্ধান্ত হয় বলে জানান ইসি সচিব জাহাংগীর আলম ।

ইসি সচিব বলেন, কমিশন সভায় অনুমোদিত প্রস্তাবগুলো আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। সেইগুলো ভেটিং শেষে বিধিমালা সংশোধন হবে। নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানার নেতৃত্বে গঠিত আইন সংশোধন কমিটি প্রস্তাবগুলো এনেছে।

যেসব প্রস্তাব অনুমোদন হয়েছে
১. পোস্টার, ব্যানার সাদা-কালো অথবা রঙিন করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

২. প্রতীক বরাদ্দের আগে জনসংযোগ এবং ডিজিটাল মাধ্যমে নির্বাচনি প্রচরণার প্রস্তাব করা হয়।

৩. পাঁচ জনের বেশি কর্মী বা সমর্থককে নিয়ে জনসংযোগ করা যাবে না।

৪. প্রতি ইউনিয়নে একটি এবং পৌরসভার প্রতি তিনটি ওয়ার্ডে একটির বেশি নির্বাচনি ক্যাম্প বা অফিস স্থাপন করা যাবে না।

৫. নির্বাচনি ক্যাম্প বা অফিসের আয়তন ৬০০ বর্গফুটের বেশি হতে পারবে না।

৬. নির্বাচনি প্রচারণায় একটির বেশি শব্দযন্ত্র (হর্ন) বা জনসভায় চারটির বেশি শব্দযন্ত্র (হর্ন) ব্যবহার করা যাবে না।

৭. শব্দদূষণ প্রতিরোধে শব্দ বর্ধনকারী যন্ত্রের শব্দের মান মাত্রা ৬০ ডেসিবলের বেশি হতে পারবে না।

৮. প্রচারণায় পোস্টার বা ব্যানারে পলিথিনের ব্যবহার না করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

৯. স্বতন্ত্র প্রার্থীর ক্ষেত্রে ভোটারের সমর্থনেরযুক্ত তালিকা দাখিলের বিধান বিলুপ্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

১০. অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

১১. চেয়ারম্যানের ক্ষেত্রে জামানত এক লাখ টাকা, ভাইস চেয়ারম্যানের ক্ষেত্রে ৭৫ হাজার টাকা এবং নারী সদস্যের ক্ষেত্রে পাঁচ হাজার টাকার প্রস্তাব করা হয়েছে।

১২. সমভোটের ক্ষেত্রে লটারির মাধ্যমে ফলাফল নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়।

১৩. প্রদত্ত ভোটের শতকরা ১৫ ভাগ অপেক্ষা কম ভোট পেলে জামানত বাজেয়াপ্তের প্রস্তাব করা হয়েছে।

১৪. চেয়ারম্যান এবং ভাইস চেয়ারম্যানের নির্বাচনি ব্যয় ২৫ লাখ টাকা এবং নারী সদস্যদের এক লাখ টাকার প্রস্তাব করা হয়েছে।

১৫. মনোনয়নপত্রে লিঙ্গ হিসেবে হিজড়াদের অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাব করা হয়।

১৬. নির্বাচনের ফলাফল স্থগিত ও পুনরায় ভোটগ্রহণে কমিশনের ক্ষমতার বিষয়ে প্রস্তাব করা হয়েছে।

১৭. মনিটরিং কমিটি গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে।

১৮. নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধিত হওয়ায় প্রতীক অন্তর্ভুক্তি বা সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ইতোমধ্যে ইসি জানিয়েছে, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন চারটি ধাপে অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপ ৪ মে ১৫৩টি, দ্বিতীয় ধাপ ১১ মে ১৬৫টি, তৃতীয় ধাপ ১৮ মে ১১১টি এবং চতুর্থ ধাপ ২৫ মে ৫২টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

news24bd.tv/aa