একটু বৃষ্টিতেই বালিয়াকান্দির সড়ক যেন মরণফাঁদ

একটু বৃষ্টিতেই বালিয়াকান্দির সড়ক যেন মরণফাঁদ

রাজবাড়ী প্রতিনিধি

সামন্য বৃষ্টি হলেই বালিয়াকান্দি উপজেলা শহর ও গ্রামীণ সড়কগুলো যেন মরণফাঁদে পরিণত হয়। উপজেলা শহর থেকে শুরু করে গ্রামীণ কাঁচা-পাকা ও আধাপাকা সড়কগুলোতে চলাচল করে শত শত মাটিবাহী গাড়ি। মাটি বোঝাই এসব গাড়ি থেকে ছিটকে পড়া মাটি বৃষ্টিতে ভিজে কাদা ও পিচ্ছিল হয়ে সড়কগুলোকে পথযাত্রী ও যানবাহন চলাচলের অযোগ্য করে তোলে।

সোমবার (৪ মার্চ) ভোরে বালিয়াকান্দিতে সামান্য বৃষ্টি শুরু হয়।

এ সময় বালিয়াকান্দি -নারুয়া ,বালিয়াকান্দি-সোনাপুর, বালিয়াকান্দি-রাজবাড়ী সড়কে কাঁদার সৃষ্টি হয়।

এতে রাস্তায় চলাচলকারী মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেল, অটোভ্যান, ইজিবাইকসহ পথচারীরা চরমভোগান্তিতে পড়েন। প্রতিটি ইটভাটার সমানে কয়েক কিলোমিটার পর্যন্ত রাস্তা পানিতে ভিজে ‘পিচ্ছিল মরণ ফাঁদে’ পরিণত হয়েছে। এতে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করছেন সাধারণ মানুষ।

স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, বেশিরভাগ ইটভাটার মালিকরা ক্ষমতাসীন দলের লোক। তারা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে চাঁদা দেন। সরকারি অনেক অনুষ্ঠানে তাদের টাকায় হয়ে থাকে। যে কারণে জমির শ্রেণি পরিবর্তন থেকে শুরু করে রাস্তায় দুর্ভোগ সৃষ্টিতে তাদের কোনো সমস্যা হয় না।

বালিয়াকান্দির বেশিরভাগ ইটভাটায় প্রকাশ্যে কাট পুড়িয়ে ইট তৈরি করা হয়। এগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি স্থানীয়দের।

শিক্ষক উত্তম কুমার গোস্বামী বলেন, বালিয়াকান্দিতে ১২টি ইটভাটার সামনের সড়কগুলো বর্তমানে খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার কারণে ভাটার মালিক দেখলাম নিজ উদ্যোগে মাটি অপসারণের কাজ করছে।

তিনি বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ সড়ক যেন মৃত্যুফাঁদ।

বালিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ বলেন, বালিয়াকান্দির বিভিন্ন রাস্তা এখন ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে। প্রশাসনের ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করেন তিনি। এছাড়া জনসাধারণের ঝুঁকিপূর্ণ রাস্তায় সতর্ক হয়ে চলার দাবি তাঁর।

বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা ইটভাটার মালিকদের অনেকবার সতর্ক করেছি। দ্রুতই ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

news24bd.tv/তৌহিদ