জুমার খুতবায় যে আয়াত পাঠ করেছিলেন নবিজি (সা.)

জুমার খুতবায় যে আয়াত পাঠ করেছিলেন নবিজি (সা.)

জুমার খুতবায় যে আয়াত পাঠ করেছিলেন নবিজি (সা.)

অনলাইন ডেস্ক

খুতবার শাব্দিক অর্থ বক্তৃতা বা বক্তব্য দেওয়া। ইসলামি শরিয়তের পরিভাষায় খুতবা এমন বক্তৃতা, যাতে আল্লাহর প্রশংসা, তার একত্ববাদের ঘোষণা, আল্লাহর রাসুলের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রতি দরুদ এবং উপস্থিত সাধারণের প্রতি উপদেশ বিদ্যমান থাকে।

নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মক্কা থেকে মদিনায় হিজরতের পর কুবার মসজিদে প্রথম জুমার নামাজ আদায় করেন। এ নামাজে তিনি নিজেই ইমামতি করেন।

এ দিন জুমার নামাজের আগে তিনি দুটি খুতবা প্রদান করেন। তখন থেকেই শুক্রবারে জুমার নামাজের জামাতের আগে দুটি খুতবা প্রদানের নিয়ম প্রচলিত রয়েছে।

জুমার খুতবায় নবিজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কোরআন থেকে তিলাওয়াত করতেন। অনেক আলেমরা জুমার খুতবায় অন্তত একটি আয়াত পাঠ করা অপরিহার্য বলেছেন।

ইমাম শাফেঈর (রহ.) মতে ইমাম যদি তার খুতবায় একটি আয়াতও পাঠ না করে খুতবা দিয়ে দেন, তবে তাকে পুনরায় খুতবা দিতে হবে।

সুনানে তিরমিজিতে বর্ণিত হয়েছে, সাফওয়ান ইবনে ইয়ালা ইবনে উমাইয়্যা (রা.) বলেছেন, আমি আল্লাহর রাসুলকে (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) মিম্বরে দাঁড়িয়ে এ আয়াতটি তিলাওয়াত করতে শুনেছি,


وَ نَادَوۡا یٰمٰلِکُ لِیَقۡضِ عَلَیۡنَا رَبُّکَ قَالَ اِنَّکُمۡ مّٰکِثُوۡنَ

তারা চিৎকার করে বলবে হে মালেক! (জাহান্নামের দারোয়ান) তোমার রব যেন আমাদের শেষ করে দেন। সে জবাব দেবে তোমরা এ অবস্থায়ই থাকবে। (সুরা যুখরুফ: ৭৭)  

অর্থাৎ জাহান্নামিরা শাস্তি সহ্য না করতে পেরে জাহান্নামের দারোয়ান মালেককে ডেকে বলবে আল্লাহ তাআলার কাছে আবেদন করতে তিনি যেন তাদের মৃত্যু দিয়ে দেন। কিন্তু তাদের ওই প্রার্থনাও গ্রহণ করা হবে না।

news24bd.tv/aa