বিডিএস বাংলাদেশের ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে: মন্ত্রী 

বিডিএস বাংলাদেশের ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে: মন্ত্রী 

অনলাইন ডেস্ক

ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ বলেছেন, বিডিএস বাংলাদেশের ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে। তিনি আরও জানান, ম্যাপ সংযুক্ত মালিকানা ভিত্তিক খতিয়ান প্রণয়ন করা সম্ভব হলে ভূমি নিয়ে মামলা-মোকদ্দমা ও সীমানা বিরোধ অনেকাংশে কমে যাবে।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ভূমি ভবনে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত ভূমি মন্ত্রণালয়ের এক বিশেষ ‘প্রকল্প পর্যালোচনা সভা’য় প্রধান অতিথি হিসেবে প্রকল্পের অগ্রগতির ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের থেকে ব্রিফিং নেওয়ার পর ভূমি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদানকালে এ কথা বলেন ভূমিমন্ত্রী।

ভূমি সচিব মো. খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই বিশেষ পর্যালোচনা সভায় ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আনিস মাহমুদ, ভূমি মন্ত্রণায়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) জিয়াউদ্দীন আহমেদসহ ভূমি মন্ত্রনালয়ের সকল প্রকল্পের পরিচালক ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

ভূমিমন্ত্রী জানান, বিডিএস বাস্তবায়িত হলে ম্যাপসহ মালিকানা ভিত্তিক খতিয়ান চালু করা সম্ভব হবে এবং খতিয়ানে দাগ শেয়ার করতে হবে না। তিনি এসময় বিডিএসকে একটি জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প হিসেবে উল্লেখ করে সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালককে অগ্রাধিকার দিয়ে যথাযথ গুরুত্ব সহকারে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের নির্দেশ দেন।

সভায় আরও অবহিত করা হয়, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন, মানিকগঞ্জ পৌরসভা এবং ধামরাই ও কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় ইডিএলএমএস প্রকল্পের (এস্টাব্লিশমেন্ট অব ডিজিটাল ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম প্রকল্প) মাধ্যমে বাংলাদেশ ডিজিটাল সার্ভে কার্যক্রম চলমান রয়েছে। খুব শিগগিরই আরেকটি প্রকল্পের রিভিও শেষ হলে দেশের আরও পটুয়াখালী, বরগুনা, পাবনা, সিরাজগঞ্জ ও গোপালগঞ্জ জেলার ৩২টি উপজেলাতেও বাংলাদেশ ডিজিটাল সার্ভে শুরু হবে।

পর্যায়ক্রমে দুটি প্রকল্পের মাধ্যমে সারা বাংলাদেশে 'বাংলাদেশ ডিজিটাল সার্ভে' পরিচালনা করা হবে।

সভায় আরও জানানো হয়, ভূমি মন্ত্রণালয় ঢাকার সাভারে বাংলাদেশ জরিপ ও সেটেলমেন্ট প্রশিক্ষণ একাডেমি স্থাপনের পরিকল্পনা নিয়েছে। ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর ইতোমধ্যে তিন হাজারের বেশি জনবল নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এই প্রশিক্ষণ একাডেমি স্থাপনের ফলে ভূমি খাতের সেটেলমেন্ট ও জরিপ বিভাগে দক্ষ জনবল তৈরি সম্ভব হবে।

এছাড়া সারাদেশে আরও ১ হাজার ৩৩৩টি শহর ও ইউনিয়ন ভূমি অফিস নির্মাণ করা হবে। সভায় জানানো হয় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ইতোমধ্যে ১ হাজার ৫৯২ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি অনুমোদন করেছে। ইতোমধ্যে সারাদেশে ১ হাজার ৪৩টি শহর ও ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে।

উল্লেখ্য, বর্তমানে ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীনে ছয়টি প্রকল্প চলমান রয়েছে, আরও পাঁচটি প্রকল্প অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।

news24bd.tv/SHS