ফুল গবেষণা কেন্দ্র স্থাপনে প্রতিনিধি দলের এলাকা পরিদর্শন

ফুল গবেষণা কেন্দ্র স্থাপনে প্রতিনিধি দলের এলাকা পরিদর্শন

নাটোর প্রতিনিধি

দেশে প্রথমবারের মত ফুল গবেষণা কেন্দ্র স্থাপনের লক্ষ্যে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ জনের এক প্রতিনিধি দল নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছেন।  

সোমবার সকালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের প্রফেসর ড. মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান ও কৃষি অর্থনীতি বিভাগের প্রফেসর ড. ফকির আজমল হুদা’র নেতৃত্বে দলটি উপজেলার বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করেন।  

এছাড়াও গবেষণা কেন্দ্র স্থাপনের নিমিত্তে সমীক্ষা চালানোর অংশ হিসেবে এলাকার ফুল চাষী ও ব্যবসায়ীদের সাথেও এক মতবিনিময় করেন দলটি।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, বাণিজ্যিক ভিত্তিতে দেশের বিভিন্ন স্থানের মতো এখন বাগাতিপাড়ায়ও ব্যাপক ফুল চাষ হচ্ছে।

প্রায় এক দশকেরও বেশি সময় পূর্বে এ অঞ্চলে বিভিন্ন জাতের ফুল চাষ শুরু হয়। স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ ২০১২ সাল থেকে প্রদর্শনীর মাধ্যমে গ্রাডিওলাস, রজনীগন্ধাসহ বেশ কিছু ফুল চাষে চাষীদের সহযোগীতা করার পর থেকে এ উপজেলায় ব্যাপকহারে ফুল চাষ ছড়িয়ে পড়ে। অর্থকরী ফসল হিসেবে এ অঞ্চলে ফুল চাষের বেশ সম্ভাবনা রয়েছে।  

এর ফলে এলাকার নারী-পুরুষের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হচ্ছে।

কিন্তু দেশে ফুলের জন্য কোন গবেষণা কেন্দ্র না থাকায় বর্তমান সরকার প্রথম বারের মত ‘ফুল গবেষণা কেন্দ্র’ স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে। এরই লক্ষ্যে বাগাতিপাড়া উপজেলা পরিদর্শনে আসেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি দল। বিশেষজ্ঞ দলটি বাগাতিপাড়া উপজেলার ফুল গ্রাম হিসেবে পরিচিত উপজেলার ঠেঙ্গামারা গ্রামের বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখেন এবং গবেষণা কেন্দ্র স্থাপনের সমীক্ষা চালান। এসময় তাঁরা গাঁদা, চেরী, কাঠ বেলীসহ বিভিন্ন ফুল বাগান পরিদর্শন করেন।

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট (বিএআরআই) এ সংক্রান্ত প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। এদিকে একই দিনে উপজেলা কৃষি অফিসার মোমরেজ আলীর সভাপতিত্বে কৃষি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ১৮ জন ফুল চাষী ও ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময় করেন বিশেষজ্ঞ দলটি। এতে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের প্রফেসর ড. মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি অর্থনীতি বিভাগের প্রফেসর ড. ফকির আজমল হুদা।

উল্লেখ্য, বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ অঞ্চলে ফুল চাষে নারী-পুরুষের কর্মসংস্থানের সৃষ্টির খবর প্রকাশিত হয়। এর ফলে এ উপজেলার ঠেঙ্গামারা গ্রাম ‘ফুল গ্রাম’ হিসেবে পরিচিতি পায়।

 

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/কামরুল)

সম্পর্কিত খবর