কালকিনিতে নবম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ

ধর্ষণ। প্রতীকী

কালকিনিতে নবম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ

মাদারীপুর প্রতিনিধি

বিয়ের প্রলোভন দিয়ে মাদারীপুরের কালকিনিতে লিটন বাড়ৈ নামের এক সাবেক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন ভূক্তভোগী পরিবার। অভিযুক্ত লিটন বাড়ৈ উপজেলার নবগ্রাম এলাকার ৮নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য।

এদিকে ধর্ষিতার পরিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলামের কাছে এ ব্যাপারে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

ভূক্তভোগী পরিবার ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার নবগ্রাম এলাকার নবগ্রাম কদমপট্টি গ্রামের যুবরাজ বাড়ৈর ছেলে ইউপি সদস্য লিটন বাড়ৈ ওই স্কুলছাত্রীর বাড়ির একটি পুকুরে মাছ চাষ করেন। এ সূত্র ধরে প্রথমে ওই ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক হয়। পরে তাকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ধর্ষণ করে আসছে ইউপি সদস্য লিটন বাড়ৈ। অভিযুক্ত লিটন বাড়ৈ গত ২১জুন রাতে পুনরায় ওই ছাত্রীকে ঘরে একা পেয়ে ধর্ষণ করেন।

এ ঘটনা জানাজানি হলে ধর্ষিতার পরিবার স্থানীয় কয়েকজন মাতব্বরকে বিষয়টি জানান। পরে ধর্ষিতার পরিবার লিটন বাড়ৈকে ওই ছাত্রীকে বিয়ের জন্য চাঁপ প্রয়োগ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে লিটন ওই স্কুলছাত্রীকে মোটরসাইকেলে উঠিয়ে নিয়ে হত্যার চেষ্টা করেন। নিরুপায় হয়ে নির্যাতিতার বাবা বাদী হয়ে ইউপি সদস্য লিটন বাড়ৈর নামে ডাসার থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।

এদিকে ধর্ষিতার পরিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলামের কাছে ও একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

ভূক্তভোগীর মা কান্না জরিত কন্ঠে বলেন, সরলতার সুযোগে মেম্বর লিটন বাড়ৈ দীর্ঘদিন ধরে আমার মেয়েকে ধর্ষণ করে আসছে। তাই আমরা মামলা করেছি। আমরা তার ফাঁসি চাই। মেম্বর আগেও এরকম কয়েকটি ঘটনা ঘটিয়েছে।

অভিযুক্ত ইউপি সদস্য লিটন বাড়ৈর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে এলাকায় পাওয়া যায়নি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, আমি ধর্ষণের ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি। মামলা নিতে ডাসার থানার ওসিকে বলে দিয়েছি।

ডাসার থানার ওসি মো. গোলাম কিবরীয়া বলেন, স্কুলছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। ধর্ষিতাকে মেডিকেল চেকাপের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছি। আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/বেলাল/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর