দুনিয়াতে মানুষ তাঁর আশা অনুযায়ী চেষ্টা সাধনা করে, সে কখনো কখনো লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারে। কিন্তু মৃত্যু পরবর্তী জীবন যে জীবনে মানুষ অনেক কিছুই আশা করবে, তার কোরোটা বিন্দুমাত্র বাস্তবায়ন করার সুযোগ পাবে না। নিম্নে আমরা মানুষ মৃত্যুর পর কী কী আশা করবে, তা নিয়ে আলোচনা করা হলো এক. দ্রুত কাফন দাফন করার আশা করবে। আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, যখন জানাজা (খাটিয়ায়) রাখা হয় এবং পুরুষ লোকেরা তা তাদের কাঁধে তুলে নেয়, সে পুণ্যবান হলে তখন বলতে থাকে, আমাকে সামনে এগিয়ে দাও। আর পুণ্যবান না হলে সে আপন পরিজনকে বলতে থাকে, হায় আফসোস! এটা নিয়ে তোমরা কোথায় যাচ্ছ? মানুষ ছাড়া সবাই তার চিৎকার শুনতে পায়। মানুষ যদি তা শুনতে পেত তবে অবশ্যই অজ্ঞান হয়ে যেত। (বুখারি, হাদিস, ১৩১৬) দুই. সৎ লোক আশা করবে যাতে দ্রুত কিয়ামত কায়েম হয়ে যায়। যেন সে চিরস্থায়ী ও সম্মানের...
মানুষ মৃত্যুর পর যা যা আশা করবে
জাওয়াদ তাহের

কেউ দাওয়াত দিলে তার জন্য দোয়া করা
উম্মে আহমাদ ফারজানা
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাসুল (সা.) কারো বাড়িতে দাওয়াত খেতে গেলে বাড়ি ওয়ালার জন্য দোয়া না করে ফিরে আসতেন না। ইমাম আবু দাউদ (রহ.) আবুল হাইসাম (রা.)-এর ঘটনায় উল্লেখ করেছেন যে আবুল হাইসাম রাসুল (সা.) ও তাঁর সাহাবিদের দাওয়াত করলেন। খাওয়া শেষে তিনি বলেন, তোমাদের ভাইকে সওয়াব দান করো। তারা বলেন, কিভাবে আমরা তাকে সওয়াব প্রদান করব? তিনি বলেন, কাউকে যখন কোনো ঘরে খাওয়ার জন্য ডাকা হবে তখন পানাহার করার পর সে যদি মেজবানের জন্য (নিমন্ত্রণকারীর জন্য) দোয়া করে তাহলে এটিই হবে ঘর ওয়ালাকে সওয়াব পৌছানোর নামান্তর। হাদিসে বর্ণিত হয়েছে যে রাসুল (সা.) একবার সাদ বিন উবাদা (রা.)-এর ঘরে দাওয়াত খেয়ে এই দোয়া করেছেন। উচ্চারণ : আফতারা ইনদাকুমুস সা-ইমুন ওয়া আকালা তা-আমাকুমুল আবরার ওয়া সাল্লাত আলাইকুমুল মালাইকা। অর্থ : রোজাদাররা তোমাদের কাছে ইফতার করেছে, সৎ লোকেরা তোমাদের খাবার গ্রহণ করেছেন এবং ফেরেশতারা...
মুসলিম জীবনে সদাচরণের প্রভাব
মুফতি সাইফুল ইসলাম

ইসলাম এমন এক জীবনব্যবস্থা যা মানুষকে পরকালীন মুক্তির পথ দেখানোর সাথে সাথে ইহকালীন শান্তির পথও বাতলে দিয়েছে। যার অন্যতম উপায় হচ্ছে হুসনুল খুলক তথা সাদাচারণ। একজন আদর্শিক মুসলিম কেবল ইবাদতের মাধ্যমে নয়, বরং উত্তম নৈতিকতা, সদাচরণ ও সামাজিক দায়িত্ব পালনের মাধ্যমেও তার পূর্ণ ঈমানের পরিচয় প্রকাশ করেন। একজন মুসলিম যদি সত্যিকার অর্থে সদাচরণকে জীবনের অংশ করে তোলেন, তাহলে তার ব্যক্তিজীবন থেকে শুরু করে পারিবারিক, সামাজিক এমনকি আন্তর্জাতিক পরিসরেও এক ধরনের ইতিবাচক পরিবর্তন সূচিত হয়। ইসলামে সদাচরণের গুরুত্ব: আরবি ভাষায় সদাচরণকে বলা হয় হুসনুল খুলুক অর্থাৎ সুন্দর চরিত্র বা উত্তম নৈতিকতা। মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে রাসুল (সা.)-এর প্রশংসা করে বলেন আপনি অবশ্যই মহান চরিত্রের অধিকারী। (সুরা আল-কলম, আয়াত : ৪) রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি...
কোরআনের বিধান মানার ক্ষেত্রে হাদিসের প্রয়োজনীয়তা
মুহাম্মাদ খায়রুল ইসলাম

যেসব ইবাদতের নির্দেশ কোরআনে এসেছে তার বিস্তারিত বর্ণনা হাদিস ছাড়া জানার কোন উপায় নেই। কোরআনুল কারীমে এসেছে, এবং সালাত কায়েম করবে ও জাকাত আদায় করবে। (সুরা বাকারা, আয়াত : ৮৩) আরো এসেছে, হে বিশ্বাসীরা! তোমাদের ওপর সিয়াম ফরজ করা হলো, যেমন তা ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর। যাতে তোমরা আল্লাহভীরু হতে পারো। (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৮৩) অন্যত্র এসেছে, আর আল্লাহর উদ্দেশ্যে এ গৃহের হজ ফরয করা হলো ওই লোকদের ওপর, যাদের এখানে আসার সামর্থ্য রয়েছে। (সুরা আলে-ইমরান, আয়াত : ৯৭) উপরোক্ত তিনটিই মৌলিক আমল। এর কোন একটি আমল সঠিকভাবে পালন করতে হলে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর বিস্তারিত ব্যাখ্যা জানা ছাড়া আমল করা সম্ভব নয়। আল্লাহ বলেন, এবং সালাত কায়েম করো ও জাকাত আদায় করো। (সুরা বাকারা, আয়াত : ৮৩) কিন্তু সালাত কার ওপর ফরজ? কোন কোন সময় আদায় করতে হবে? পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের সময় কখন? দিনে-রাতে...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর