ক্রসফায়ারের পক্ষে গম্ভীরের বক্তব্য

ক্রসফায়ারের পক্ষে গম্ভীরের বক্তব্য

অনলাইন ডেস্ক

ভারতের হায়দ্রাবাদে তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ আগুনে পুড়িয়ে দেয় চার ধর্ষক। হায়দ্রাবাদ পুলিশ শুক্রবার সকালে তাদের ক্রসফায়ার করে সৃষ্টি করল এক অনন্য উদাহরণ।  

এই প্রসঙ্গে ভারতের সাবেক তারকা ক্রিকেটার ও বর্তমান বিজেপির সংসদ সদস্য গৌতম গম্ভীর বলেছেন, 'যদি তারা পালানোর চেষ্টা করে থাকে, তাহলে পুলিশের সাথেই আছি আমি। ' ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গম্ভীর আরও বলেন, 'বিচার ব্যবস্থার সংশোধন এখন অত্যন্ত জরুরি।

এটা সময়ের দাবি। কোর্টের রায় চূড়ান্ত হিসেবে বিবেচিত হওয়া উচিত এবং মৃত্যুদণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে প্রাণভিক্ষার সুযোগ থাকা উচিত না।

ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ তেলেঙ্গানার রাজধানী হায়দ্রাবাদে গণধর্ষণের পর তরুণী পশু-চিকিৎসক হত্যায় অভিযুক্ত চারজনকেই গুলি করে এনকাউন্টার করেছে পুলিশ। নিহতরা হলেন- মোহাম্মদ আরিফ, নবীন, শিব ও চেন্নাকসভুলু।

পুলিশ হেফাজত থেকে পালাতে গিয়ে গুলিতে তারা নিহত হন। তদন্তের জন্য চারজনকেই ঘটনাস্থলে নিয়ে গিয়েছিল পুলিশ। তারা সেখান থেকে পালানোর চেষ্টা করতে থাকেন। তারপরই পুলিশ তাদের দিকে গুলি ছোড়ে। পুলিশের গুলিতে তাদের মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন হায়দ্রাবাদের পুলিশ কমিনশনার।

গত বুধবার রাতে কর্মস্থল থেকে ফেরার পথে তেলেঙ্গানার তরুণী চিকিৎসককে চারজন ট্রাকচালক ও ক্লিনার মিলে কৌশলে নিজেদের ফাঁদে ফেলে গণধর্ষণ করে। পরদিন সকালে ওই তরুণীর ঝলসে যাওয়া মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে স্থানীয় টোল প্লাজায় প্রিয়াংকাকে স্কুটি নিয়ে দাঁড়ানো অবস্থায় দেখে তখনই ষড়যন্ত্র শুরু করে অভিযুক্ত যুবকরা। পরে প্রিয়াংকার অনুপস্থিতিতে তার স্কুটির টায়ার পাংচার করে দেয় তারা। পরে প্রিয়াংকা ফিরে এসে দেখে তার স্কুটির টায়ার পাংচার হয়ে গেছে। এরপর স্কুটি ঠিক করে দেওয়ার নাম করে প্রিয়াঙ্কাকে ফাঁকা জায়গায় নিয়ে যায় ট্রাকচালক আরিফ ও তার সহকারী শিবা। তার এক ঘণ্টার মধ্যেই তাকে ধর্ষণ ও খুন করে তারা।  

সূত্র থেকে জানা গেছে, পানীয়তে মদ মিশিয়ে সেটা জোর করে তাকে পান করানো হয়েছিল। তারপরে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয় তাকে। তার দেহ পোড়াতে তারই স্কুটির জ্বালানি ব্যবহার করা হয়েছিল বলে জানা যায়।

 

নিউজ টোয়েন্টিফোর/ডিএ