উত্তরবঙ্গে শীতে মরছে মুরগী, বাড়ছে রোগবালাই

উত্তরবঙ্গে শীতে মরছে মুরগী, বাড়ছে রোগবালাই

হুমায়ুন কবির সূর্য্য, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

কুড়িগ্রামে বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। টানা ৮দিন ধরে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহে জনজীবনে দুর্ভোগ নেমে এসেছে। বিপাকে পড়েছে দিনমজুর ও দুস্থরা।

বিকেল থেকে ভোর পর্যন্ত ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকে পুরো এলাকা।

দুপুরে কুয়াশার সাথে লুকোচুরি করে সূর্য। কয়েকদিনের তীব্র শীত ও হিমেল হাওয়ায় মানুষের পাশাপাশি চরম দুর্ভোগে পরেছে গবাদিপশুও। এ পর্যন্ত জেলায় সহস্রাধিক ব্রয়লার ও লেয়ার মুরগীর খামারে প্রায় দেড় শতাধিক মুরগী মারা গেছে বলে খামারীরা জানিয়েছেন। ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় আলুর ক্ষেত আর বোরো বীজতলায় রোগের প্রার্দুভাবের আশঙ্কায় রয়েছেন চাষীরা।

জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. আব্দুল হাই সরকার জানান, জেলায় প্রায় ১ হাজার ব্রয়লার ও লেয়ার মুরগীর খামার রয়েছে। কুয়াশা ও তীব্র শীত থেকে রেহাই পেতে মুরগী রাখার ঘর সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শাহিনুর রহমান সরদার জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ২১৬ জন রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে। এরমধ্যে শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি হয়েছে ১০ জন শিশু এবং ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ২৬ জন। ডায়রিয়ায় আক্রান্ত ২৬ জনের মধ্যে ২৩ জনই শিশু।

রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, বুধবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৭ দশমিক ৭ডিগ্রি সেলসিয়াসে। দুই/তিনদিনের মধ্যে তাপমাত্রা স্বাভাবিক হতে পারে বলে এই কর্মকর্তা জানান।

জেলা প্রশাসক মোছা. সুলতানা পারভীন জানান, জেলা প্রশাসন থেকে ৫৯ হাজার ১৪ পিচ কম্বল পাওয়া গেছে। এ পর্যন্ত ৯টি উপজেলায় শীতার্ত মানুষের সহযোগিতায় ৫৬ হাজার ৫১৪ পিচ কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও ১০০০
প্যাকেট শুকনো খাবার মজুদ রয়েছে।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর