কয়েক হাজার ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে প্রস্তুত ছিল ইরান

কয়েক হাজার ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে প্রস্তুত ছিল ইরান

অনলাইন ডেস্ক

ইরাকে দুটি মার্কিন বিমান ঘাঁটিতে হামলায় ‘ফতেহ-৩১৩’ এবং ‘কিয়াম’ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে ইরান। ফতেম শব্দের অর্থ হচ্ছে বিজয়ী এবং ‘কিয়াম’ মানে জাগরণ। ‘ফতেহ-৩১৩’ ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা পাঁচশ’ কিলোমিটার আর ‘কিয়াম’-এর পাল্লা সাতশ’ কিলোমিটার। ইরানের আইআরজিসির অ্যারোস্পেস ফোর্সের প্রধান আমির আলী হাজিযাদেহ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

 

তিনি আরও বলেন, 'আমরা ইরাকে অবস্থিত দুটি মার্কিন ঘাঁটিতে ১৩টি ক্ষেপণাস্ত্র মেরেছি, তবে প্রথম কয়েক ঘণ্টায় কয়েকশ’ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের জন্য প্রস্তুত ছিলাম। আমরা ভেবেছি দুপক্ষ সংযম না দেখালে যুদ্ধ সীমিত পর্যায়ে তিন দিন থেকে এক সপ্তাহ চলবে। এ জন্য কয়েক হাজার ক্ষেপণাস্ত্র প্রস্তুত রেখেছিলাম। '  

অ্যারোস্পেস ফোর্সের প্রধান জানান, মার্কিন ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ১৫ মিনিট পরে ইলেকট্রনিক যুদ্ধ পরিচালনা করা হয়।

যার ফলে আমেরিকার ড্রোন ও বিমানগুলো কয়েক মুহূর্তের জন্য নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে যায়। আর এ ঘটনায় মার্কিন সেনাদের মনোবল একেবারে ভেঙে যায় এবং হতবিহ্বল হয়ে পড়ে। ইরানের হামলায় আমেরিকার ‘আইন আল আসাদ’ ঘাঁটির কমান্ড সেন্টার ধ্বংস হয়ে গেছে বলেও জানান তিনি।

হাজিযাদেহ বলেন, 'মার্কিন বাহিনী সতর্ক ছিল, তারা হামলার আশঙ্কায় উদ্বিগ্ন হয়ে ছিল। এ কারণে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার আগে পর্যন্ত আমেরিকার ১২টি বিমান ও ড্রোন সবসময় ইরাকের আকাশে নানাভাবে নানা রকম তৎপরতা চালাচ্ছিল। তারা আমাদের চপেটাঘাতের অপেক্ষা করছিল। চড় খাওয়ার পর তারা এখন কিছুটা শান্ত হয়েছে। '

সূত্র: পার্সটুডে

 

নিউজ টোয়েন্টিফোর/ডিএ