মার্কিন প্রেসিডেন্ট হবার দৌড়ে কে এগিয়ে?

আমেরিকার পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দলের প্রার্থীতা পেতে লড়ছেন ডজনখানেক ডেমোক্রেট

মার্কিন প্রেসিডেন্ট হবার দৌড়ে কে এগিয়ে?

অনলাইন ডেস্ক

চলতি বছরই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। ক্ষমতাধর দেশটির সবচেয়ে প্রভাবশালী চেয়ারটির দখল পেতে মরিয়া ডেমোক্রেট ও রিপাবলিকানরা। নিজ দলের প্রার্থিতা পেতে লড়াইয়ে নেমেছেন একাধিক ডেমোক্রেট প্রার্থী।

ডোনাল্ড ট্রাম্প: রিপাবলিকান প্রার্থী হিসেবে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যে আবারও নির্বাচনে লড়ছেন সেটি নিশ্চিত।

গত নির্বাচনে নানা জল্পনা-কল্পনা আর সমালোচনাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের চেয়ারটি জয় করেন বিজনেস টাইকুন ট্রাম্প। এরপর নানা ইস্যুতে বিশেষ করে অভিবাসী ইস্যুতে তিনি বছরজুড়ে ছিলেন আলোচনায়। তাকে চ্যালেঞ্জ জানাতে কে আসছেন ডেমোক্রেট শিবির থেকে সেটিই এখন দেখার বিষয়।

মাইকেল ব্লুমবার্গ: প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার প্রতিযোগিতায় এরই মধ্যে আলোচিত হয়েছেন নিউ ইয়র্কের সাবেক মেয়র মাইকেল ব্লুমবার্গ।

ট্রাম্পকে হারাতে ১০০ কোটি ডলার খরচে প্রস্তুত আছেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন এই বিলিওনিয়ার। গত অক্টোবরে রিপাবলিকান দলত্যাগ করে দুই যুগ পর আবারও ডেমোক্রেট শিবিরে ভিড়েছেন ৭৭ বছর বয়সী এই রাজনীতিক।

করি বুকার: ডেমোক্রেটদের মনোনয়নের দৌড়ে আছেন নিউ জার্সির সিনেটর করি বুকারও। বৈষম্য দূরীকরণ ইস্যুকে তিনি সামনে নিয়ে এসেছেন। ভালবাসা, ঐক্য আর সাম্যের প্রচারও চালাচ্ছেন পঞ্চাশ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদ।

মাইকেল বেনেট: বর্তমানে কলোরাডোর এই সিনেটর প্রগতিশীল ডেমোক্রেট হিসেবে পরিচিত। ২০১৩ সালের অভিবাসী আইন প্রণয়নের পেছনে যারা ভূমিকা রেখেছেন তিনি তাদের একজন। ৫৫ বছর বয়সী নম্রভাষী এই রাজনীতিবিদের প্রধান চ্যালেঞ্জ প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে গলা চড়ানো।

জো বাইডেন: জো বাইডেন বা জোসেফ আর বাইডেন জুনিয়র ওবামার শাসনামলের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট। এ পর্যন্ত দুইবার প্রেসিডেন্ট হওয়ার লড়াইয়ে নেমেছেন তিনি। তবে শেষ পর্যন্ত আর টিকে থাকতে পারেননি। শেষবারের মত এই দৌড়ে নামার সুযোগ পাচ্ছেন ৭৭ বছর বয়সী ডেমোক্রেট।

পিট বুটিজিয়েগ: নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে সর্বকনিষ্ঠ ব্যক্তি পিট বুটিজিয়েগ। ৩৭ বছর বয়সী ইন্ডিয়ানার সাউথ বেন্ডের এই মেয়র সাবেক সামরিক কর্মকর্তা। প্রচারণায় নেমেছেন অর্থনীতি ও জলবায়ু ইস্যুকে সামনে রেখে। নির্বাচনের জন্য তহবিল সংগ্রহে তিনি নাকি সবার চেয়ে এগিয়ে আছেন।

জন ডেলানি: সাবেক কংগ্রেসম্যান ও ব্যবসায়ী জন ডেলানি প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে নেমেছেন। ২০১৭ সাল থেকেই এজন্য দৌঁড়ঝাপ শুরু করেন তিনি। আইওয়ার প্রতিটি কাউন্টি এরইমধ্যে সফর করেছেন তিনি।

তোলসি গ্যাবার্ড: ২০১৬ সালের নির্বাচনে বার্নি স্যান্ডার্সকে সমর্থন দিয়েছিলেন তোলসি গ্যাবার্ড। ৩৮ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদ এবার নিজেই প্রার্থী হতে চাইছেন। সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাসার আল আসাদের সঙ্গে বৈঠক করে সমালোচিত হয়েছেন তিনি। বিদেশে মার্কিন সামরিক আগ্রাসণের বিরুদ্ধে অবস্থান রয়েছে তার।

এমি ক্লোবুসার: ৫৯ বছর বয়সী এমি ক্লোবুসার মিনেসোটার সিনেটর। মাদক, ঔষধসহ বিভিন্ন ইস্যুতে অবস্থান নিয়ে আলোচিত হয়েছেন তিনি। উদারপন্থী ডেমোক্রেট হিসেবে তার জনপ্রিয়তা রয়েছে।

ডেভাল পেট্রিক: মেসাচুসেটসের সাবেক গভর্নর ডেভাল পেট্রিকও লড়ছেন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হতে। আমেরিকার ইতিহাসের দ্বিতীয় কৃষ্ণাঙ্গ গভর্নর নির্বাচিত হন তিনি ২০০৬ সালে। সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার বন্ধু হিসেবে তার পরিচিতি রয়েছে।

বার্নি স্যান্ডার্স: ২০১৬ সালেও নির্বাচনের টিকেট পেতে লড়েছেন ৭৮ বছর বয়সী স্যান্ডার্স৷ সেবার পিছিয়ে পড়েন হিলারির কাছে। তিনি নিজেকে ‘ডেমোক্রেটিক সোশ্যালিস্ট’ হিসেবে অভিহিত করেন। সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা, বিনা পয়সায় পড়াশোনার প্রতিশ্রুতি নিয়ে নির্বাচনে লড়তে চান এই বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ।

টম স্টেয়ার: ৬২ বছর বয়সী এই বিলিওনিয়ার জলবায়ু কর্মী হিসেবে নাম কুড়িয়েছেন। ট্রাম্পের ইমপিচমেন্টের পক্ষে তিনি কয়েক কোটি ডলার ব্যয় করে টিভি বিজ্ঞাপন প্রচার করেছেন।

এলিজাবেথ ওয়ারেন: ম্যাসাচুসেটসের সিনেটর এলিজাবেথ ওয়ারেন। হার্বার্ডের সাবেক অধ্যাপক তিনি। ৭০ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদও আছেন ডেমোক্রেটদের প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর দৌড়ে।


সূত্র: ডয়েচে ভেলে

সম্পর্কিত খবর