মৃত্যুদণ্ড আটকাতে উচ্চ আদালতে মোশাররফ

মৃত্যুদণ্ড আটকাতে উচ্চ আদালতে মোশাররফ

অনলাইন ডেস্ক

রাষ্ট্রদ্রোহীতার মামলায় বিশেষ আদালতের দেওয়া রায়কে চ্যালেঞ্জ করে এবারে দেশটির সর্বোচ্চ আদালতে আবেদন করেছেন পাকিস্তানের সাবেক সামরিক শাসক জেনারেল (অব.) পারভেজ মোশাররফ।  

বৃহস্পতিবার পাকিস্তান সংবিধানের ৬ ধারার অধীনে তার বিরুদ্ধে দেওয়া বিশেষ আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে এ আবেদন করেছেন তিনি।

আবেদনে সাবেক সামরিক শাসক তার বিরুদ্ধে বিশেষ আদালতের রায় বাতিল করার আহ্বান জানিয়েছেন। লাহোর হাইকোর্ট এই বিশেষ আদালতকে অসাংবিধানিক উল্লেখ করার ঠিক একদিনের মাথাতেই এ আপিল করেন তিনি।

একটি বিশেষ আদালত ২০১৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর বিচারকদের দ্বিধাবিভক্ত রায়ে পারভেজ মোশাররফকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করার রায় দেন। পাকিস্তানের ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো কোনও সামরিক শাসককে রাষ্ট্রদ্রোহী হিসেবে ঘোষণা করে তাকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়।  

আপিলেীই সাবেক সেনাপ্রধান দাবি করেন, সংবিধান লঙ্ঘন করে ১৮৯৮ সালের দণ্ডবিধি অনুসারে যেহেতু এই মামলার বিচারকার্য হয়েছে তাই বিশেষ আদালতের রায় গ্রহণযোগ্য নয়। আবেদনে মোশাররফ আরও উল্লেখ করেন, আদালত উপযুক্ত যে ব্যবস্থাই নেবেন সেটাই তিনি মেনে নেবেন।

গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর ইসলামাবাদের বিশেষ আদালত সাবেক পাক প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহীতার মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করেন এবং সর্বোচ্চ সাজার আদেশ দেন।  

২০০১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের দায়িত্বে ছিলেন পারভেজ মোশাররফ। রাষ্ট্রদ্রোহ, বেনজির ভুট্টো হত্যা, জরুরি অবস্থা জারি, বেআইনি উপায়ে বিচারপতি বরখাস্ত এবং লাল মসজিদ তল্লাশি অভিযান-সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি মামলায় বর্তমানে পাকিস্তানের বাইরে পলাতক রয়েছেন পারভেজ মোশাররফ। ২০১৩ সালে পাকিস্তান মুসলিম লীগ ক্ষমতায় আসার পরে মোশাররফের বিরুদ্ধে ‘উচ্চ দেশদ্রোহী’ মামলা করা হয় এবং ২০১৪ সালের ৩১ মার্চ তাকে এ মামলায় প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়।

 

নিউজ টোয়েন্টিফোর/ডিএ