মানবতার ফেরিওয়ালা মিতুল হাকিম

মানবতার ফেরিওয়ালা মিতুল হাকিম

শফিকুল ইসলাম শামীম, রাজবাড়ী:

দিনমজুর, হত দরিদ্র, নিম্নবৃত্ত, মধ্যবৃত্ত, সাধারণ মানুষও সরকারের নির্দেশে ঘরে বসে করোনা ভাইরাস মোকাবিলা করছেন। কিন্ত এই সকল শ্রেণী মানুষের কয় জনের ঘরে খাবার রয়েছে। না, বেশি’র ভাগ মানুষের প্রতিদিনের আয় দিয়ে সংসার চালাতে হয়। কিন্ত কি করার জীবনের তাগিদে অনিশ্চয়তার মধ্যে ঘরে বসে সময় কাঁটাতে হচ্ছে।

 

এমনি ক্লান্তিকালে অনেক বৃত্তশালী ও প্রভাবশালীরা ঘরে বসে রয়েছে। আবার অনেকে করোনা ঝুঁকি নিয়ে সাধারণ মানুষের ঘরে ঘরে গিয়ে খাবার তুলে দিচ্ছেন। এমনি এক মানবতার ফেরিওয়ালা মিতুল হাকিম।
  
পাঁচটি উপজেলা নিয়ে রাজবাড়ী জেলা।

এর মধ্যে পাংশা, বালিয়াকান্দি ও কালুখালী উপজেলার নিম্ন আয়ের ১২ হাজার পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে  তরুন ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদ রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আশিক মাহমুদ মিতুল হাকিম। খাবারের প্যাকেট নিয়ে এই তিন উপজেলার মানুষের ঘরে ঘরে যাচ্ছেন তিনি। খোঁজ নিচ্ছেন মধ্যবৃত্ত শ্রেণী মানুষের। সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তাদের।
 
প্রথম পর্যায় প্রতি পরিবারের জন্যে বরাদ্ধ রয়েছে ১০ কেজি চাল, ১ কেজি ডাল, তিন কেজি আলু, এক কেজি লবণ, এক লিটার তেল, পরিমাণ অনুসারে মরিচ, আদা, রসুন, মসলা ও একটি করে সাবান।  

মিতুল হাকিম এই তিন উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও মহিলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে সারারাত নিজের হাতে প্যাকেট করে থাকেন। বিকেলের পর থেকে ঘরে ঘরে গিয়ে প্যাকেটগুলো পৌছানোর ব্যবস্থা করেন। শুধু ত্রাণের প্যাকেট নয়। নেতাকর্মী ও চিকিৎসকদের সমন্বয়ে পাঁচটি মেডিক্যাল স্বেচ্ছাসেবার টিম গঠন করেছেন।  

কোনো গ্রাম থেকে সাধারণ কোনো রোগী ফোন করলে মেডিক্যাল টিম গিয়ে তাদের উপজেলা হাসপাতালে এনে চিকিৎসা দেওয়ার ব্যবস্থা করছে। এই সকল পরিবারের নবজাত শিশুদের সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। এ জন্য গ্রামে গ্রামে তালিকা তৈরির কাজ চলছে।  

কালুখালী উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা সুমন বলেন, মিতুল হাকিমের নির্দেশে আমরা উপজেলার খেঁটে খাওয়া মানুষের তালিকা তৈরি করেছি। সারারাত প্যাকেট করে থাকি। আমাদের সাথে তিনি নিজেও থাকেন।  

আশিক মাহমুদ মিতুল হাকিম বলেন, কোন কিছু পাওয়ার জন্যে সাধারণ মানুষের পাশে আসিনি। শেখ হাসিনার নির্দেশে এবং দায়িত্ব মনে করেই আমি মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। এমন পরিস্থিতিতে আমার এই ক্ষুদ্রতম সহযোগিতা চলমান থাকবে। আমি পাংশা. বালিকান্দি ও কালুখালী উপজেলার মানুষের র্দুদিনে পাশে থাকতে চাই।

তিনি আরও বলেন, পাংশা, বালিয়াকান্দি ও কালুখালীর একটি মানুষও না খেয়ে থাকবে না। আমি প্রতিটি এই তিন উপজেলার প্রতিটি পরিবারে খোঁজ নিচ্ছি এবং সার্বিক সহযোতিা করে যাচ্ছি।

 

নিউজ টোয়েন্টিফোর/কামরুল