রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ ট্রাফিকের উদাসীনতায় করোনা আক্রান্ত জেলা নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থান থেকে রংপুরের বিভিন্ন জেলার অসংখ্য মানুষ ট্রাকে করে আসছে।
ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিসহ বিভিন্ন স্থানে কর্মরত ছিলেন এসব মানুষ। এ অঞ্চলের নারী-পুরুষ গোপনে মালবাহী ট্রাক, অ্যাম্বুলেন্স মাইক্রোবাস, কাভার্ডভ্যানসহ বিভিন্নভাবে তাদের বাড়ি
আসছেন। রংপুরের মিঠাপুকুর, কাউনিয়া, গঙ্গাচড়া, পীরগঞ্জ, পীরগাছা ও রংপুর নগরীতে গত কয়েকদিনে সহস্রাধিক মানুষ ওই সব এলাকা থেকে এসেছে বলে এলাকাবাসী ও প্রশাসনের বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।
জানা গেছে, ৯ এপ্রিল বৃহস্প্রতিবার রাত ৮ টার দিকে ঢাকা নারায়ণগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা একটি ট্রাকে (ঢাকা মেট্রা-ট ১৪-২২২২) করে ৪৬ জন ব্যক্তি লালমনিরহাটের হাতিবান্ধা থানার গুড্ডিমারী গ্রাম, চেংমাড়ী গ্রামে যাচ্ছিল।
এ ব্যাপারে মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের সহকারী কমিশনার, ইমরান হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি কোনো কথা বলতে রাজি হননি। উল্টো তিনি সাংবাদিকদের কাছে এ ব্যাপারে কী তথ্য আছে তা জানতে চান?
এ ব্যাপারে রংপুর মহানগর কমিউনিটি পুলিশের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম রাজু, যে হারে করোনা আক্রান্ত এলাকা থেকে মানুষজন আসছে এটা বন্ধ করা না গেলে ভয়াবহ বিপদে পড়তে হবে। যারা চলেই আসেছে তাদের বাসায় থাকতে অনুরোধ করা হচ্ছে।
রংপুরের সিভিল সার্জন ডা. হিরম্ব কুমার রায় বলেন, আমরাও খবর পাচ্ছি করোনার ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা থেকে বেশ কিছু মানুষ তাদের বাড়িতে এসেছেন। এটা চরম উদ্বেগের। কারণ তাদের অনেকেই হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে চাইছেন না। তবে পুলিশ, এলাকাবাসী উপজেলা প্রশাসন সজাগ দৃষ্টি রাখছে। আমাদের স্বাস্থ্যকর্মীরাও বাড়িতে গিয়ে তাদের বাসার বাইরে বের না হবার আহ্বান জানাচ্ছেন।
অপরদিকে জেলা প্রশাসক আসিব আহসান বলেন, গত দুদিনে রংপুরে হোম কোয়ারেন্টিনে দুই শ’রও বেশি মানুষ অবস্থান নিয়েছেন। তাদের বেশির ভাগই ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ থেকে এসেছেন। এর বাইরেও অনেকে এসেছেন। তাদের আমরা সন্ধান করছি। এলাকাবাসীও আমাদের সহযোগিতা করছেন। আশা করি সবাইকেই আমরা হোম কোয়ারেন্টিনের আওতায় আনব।
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)