৪০ নামের পাশে মেম্বারের মোবাইল নম্বর!
মানবিক সহায়তার তালিকায় অনিয়ম

৪০ নামের পাশে মেম্বারের মোবাইল নম্বর!

বাগেরহাট প্রতিনিধি

বাগেরহাটের শরণখোলায় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত মানবিক সহায়তার তালিকায় ৪০জন উপকারভোগীর নামের পাশে নিজের মোবাইল নম্বর দেওয়া খোন্তাকাটা ইউনিয়নের দুই ওয়ার্ডে ইউপি সদস্য মো. রাকিব হাসানকে শোকজ করেছে উপজেলা প্রশাসন। শনিবার একটি জাতীয় দৈনিকের অনলইনে এনিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর শুরু হয় তোলপাড়।

শনিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্বাক্ষরিত নোটিশে অভিযুক্ত ইউপি সদস্যকে সাত দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেন।

এদিকে, চারটি ইউনিয়ন থেকে জমা দেওয়া চার হাজার সুবিধাভোগীর নাম সংশোধন করে সঠিক তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে।

ইউনিয়ন পরিষদ থেকে দেওয়া ওই তালিকায় সরকারি অন্যান্য সুবিধাভোগকারী, চৌকিদার, সচ্ছল ব্যক্তিদের নামসহ বিভিন্ন অনিয়ম থাকায় তা যাচাই-বাছাইয়ে ধরা পড়ার পর সরকারি কর্মকর্তা ও শিক্ষকদের সমন্বয়ে পুনরায় তালিকা প্রনয়ণ করেন শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সরদার মোস্তফা শাহিন।

উপজেলা প্রশাসন জানায়, খোন্তাকাটা ইউনিয়নের দুই ওয়ার্ডে ইউপি সদস্য মো. রাকিব হাসান মানবিক সহায়তার ওই তালিকায় ৪০ জন সুবিধাভোগীর নামের পাশে তার নিজের মোবাইল নম্বরটি জুড়ে দেন। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকা প্রদানের ব্যবস্থা থাকায় তিনি এই অপকৌশলের আশ্রয় নেয়। বিষয়টি প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য মো. রাকিব হাসান জানান, উপজেলা থেকে মানবিক সহায়তার তালিকা তৈরির নির্দেশনা পেয়ে তার ওয়ার্ডের ৮সদস্য বিশিষ্ট তালিকা প্রস্তুত কমিটির সমন্বয়ে প্রত্যেক উপকারভোগীর নাম এবং তাদের নিজ নিজ মোবাইল নম্বরসহ তালিকা ইউনিয়ন পরিষদে জমা দেওয়া হয়। কিন্তু ইউনিয়ন পরিষদ থেকে কম্পিউটার প্রিন্টে ৪০ জন উপকারভোগীর মোবাইল নম্বরের স্থলে তার মোবাইল নম্বরটি ভূলে ছেপে দেওয়া হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।

শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সরদার মোস্তফা শাহিন বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে প্রস্তুত করা তালিকায় সুবিধাভোগীদের নামের পাশে প্রত্যেকের মোবাইল নম্বর দেওয়ার কথা। কিন্তু পরিষদ থেকে যে তালিকা এসেছে তাতে বেশ কয়েকজন মেম্বারের মোবাইল নম্বর এভাবে একাধিক নামের পাশে সংযুক্ত করা হয়েছে। যা যাস্তিযোগ্য অপরাধ। এভাবে তিন শতাধিক নাম ও মোবাইল নম্বর সংশোধন করা হয়েছে। স্থানীয় সরকারের ইউনিয়ন পরিষদ আইনে অভিযুক্ত ইউপি সদস্যকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। সাত দিনের মধ্যে সন্তোষজনক জবাব দিতে না পারলে তার বিরুদ্ধে বিধিগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর