ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের তাণ্ডবে পটুয়াখালী জেলাতে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। জানা যায়, আজ বুধবার সন্ধ্যায় বাবা-মা’র সঙ্গে আশ্রয় কেন্দ্রে যাবার সময় গাছের ঢাল পড়ে জেলার গলাচিপার পানপট্টিতে রাশেদ নামে ৫ বছরের এক শিশু মারা গেছে। রাশেদ পানপট্টি ইউনিয়নের খরিদা গ্রামের শাহজাদা মিয়ার ছেলে।
এর আগে বুধবার সকালে ঘূর্ণিঝড়ের সতর্ক বার্তা প্রচার করতে গিয়ে কলাপাড়ার লোন্দা খালে নৌকা ডুবিতে নিখোঁজ হয় সিপিপি’র ধানখালীর ৬ নম্বর ইউনিটের দলনেতা সৈয়দ শাহ আলম।
পরে সন্ধ্যার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করে ডুবুরিরা।সৈয়দ শাহ আলমের বাড়ি ওই ধানখালী ইউনিয়নের ছৈলাবুনিয়া গ্রামে। তিনি প্রায় তিন দশক ধরে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) সঙ্গে জড়িত ছিল।
অপরদিকে রাত যত গভীর হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের তীব্রতাও ততই বাড়ছে।
উপকূলের লোকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, রাতে জোয়ারের পানি অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে এবং উপকূলের বিধ্বস্ত বেড়িবাঁধ দিয়ে প্রবলবেগে জোয়ারের পানি ঢুকে রাঙ্গাবালী, কলাপাড়া, গলাচিপা, দুমকি, মির্জাগঞ্জ উপজেলার অন্তত ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। তবে, ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে এখন পর্যন্ত বড় ধরণের কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসক মো. মতিউল ইসলাম চৌধুরী।
তিনি জানান, গাছের ঢাল পড়ে গলাচিপায় ৫ বছরের এক শিশু এবং কলাপাড়ায় নৌকা ডুবিতে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) এক ইউনিট দলনেতা মারা গেছেন।
এছাড়া ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাবে বিধ্বস্ত বেড়িবাঁধ দিয়ে জোয়ারের পানি ঢুকে কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। তবে, নতুন কোন বেড়িবাঁধ ভাঙেনি। পটুয়াখালীতে আর বড় ধরণের তেমন কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
নিউজ টোয়েন্টিফোর/কামরুল