ভারতে করোনা চিকিৎসায় রোবটের ব্যবহার

ভারতে করোনা চিকিৎসায় রোবটের ব্যবহার

অনলাইন ডেস্ক

প্রাণঘাতী ভাইরাস করোনা জেকে বসেছে প্রতিবেশী দেশ ভারতে। দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন মোট ৯ হাজার ৫২০ জন। গত একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন ১১ হাজার ৫০২ জন।

জুনের প্রথম ১৫ দিনে আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ ৪১ হাজার ৮৮৯ জন। দেশে এ পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৩ লাখ ৩২ হাজার ৪২৪ জনে পৌঁছেছে।

আজ (সোমবার) সকাল ৮ টা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এই তথ্য জানিয়েছে।

সরকারি হিসাব অনুযায়ী- এ পর্যন্ত মোট ১ লাখ ৬৯ হাজার ৭৯৮ জন করোনা রোগী সুস্থ হয়েছেন।

পাশাপাশি সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সঙ্গে সুস্থ রোগীর ব্যবধান ক্রমশ বাড়ছে। সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সক্রিয় রোগীর তুলনায় ১৬ হাজার ৬৯১ জন বেশি সুস্থ হয়ে উঠেছেন।

এদিকে, ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর) গঠিত অপারেশনস রিসার্চ গ্রুপের সমীক্ষায় বলা হয়েছে, দেশে করোনার সংক্রমণ শীর্ষ ছুঁতে পারে নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে। এবং ওই সময়েই আইসিইউ-শয্যা ও ভেন্টিলেটরের ঘাটতি দেখা দিতে পারে।

অন্যদিকে, করোনা চিকিৎসায় এবার রোবটের ব্যবহার শুরু করছে ভারতের দক্ষিণ-মধ্য রেল। মূলত সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত রুখতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় রেল মন্ত্রণালয় সূত্রের খবর, একটি বিশেষ মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে রোবটকে পরিসেবার কাজে লাগানো হবে। সেক্ষেত্রে ব্যবহার করা হবে প্রধানত ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক। অ্যাপে ইনস্টল করা রয়েছে রিয়েল টাইম ভিডিও ক্যামেরা। তার সঙ্গে যুক্ত থাকছে ‘প্যান’ এবং ‘টিল্ট’ পদ্ধতিরও। রোগীর শরীরের খুঁটিনাটি পর্যবেক্ষণ করবে ওই ক্যামেরা। করোনা রোগীর জ্বর বাড়লেই বেজে উঠবে অ্যালার্ম। সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে শরীরের তাপমাত্রা মাপবে রিয়েল টাইম ভিডিও ক্যামেরা। রোগীর ওষুধ, পথ্য পৌঁছে দিতেও লাগবে না কোনও নার্স কিংবা স্বাস্থ্যকর্মীকে। রেল হাসপাতালে করোনার চিকিৎসা করতে গিয়ে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীদের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায় ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

রাজধানী দিল্লিতে সংক্রমণের সংখ্যা একনাগাড়ে বাড়তে থাকায় হাসপাতালের শয্যাতে টান পড়েছে। পরিস্থিতি দ্রুত মোকাবিলায় দিল্লি সরকারকে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ হাসপাতালের ধাঁচে পরিকাঠামো রয়েছে এমন পাঁচশ’ রেলের কামরা দিয়ে সাহায্য করবে।

মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ সব কামরার বেশির ভাগটাই রাখা থাকবে দিল্লির আনন্দবিহার স্টেশনে। এরফলে দিল্লিতে আট হাজার শয্যা বাড়বে। রেলের ৫৪টি আইসোলেশন কোচ ইতোমধ্যেই দিল্লির শকুরবস্তি রক্ষণাবেক্ষণ ডিপোয় এসে পৌঁছেছে।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর