রাঙামাটিতে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ

রাঙামাটিতে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ

টেস্টিং ল্যাব ভেন্টিলেটর ইউনিট স্থাপনের দাবি স্থানীয়দের
ফাতেমা জান্নাত মুমু, রাঙামাটি

দিন যতই যাচ্ছে, ততই বাড়ছে সংক্রমণ। এখন রাঙামাটি করোনা শনাক্তের সংখ্যা ২০৮। সেনাবাহিনী, পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের দল মাঠে তৎপর থাকলেও ঠেকানো যাচ্ছে না সংক্রমণ। এতে উদ্বিগ্ন প্রশাসন।

তবে স্থানীয়রা বলছে, দ্রুত পিসিআর ল্যাব স্থাপন করা না হলেও রাঙামাটিতে নিয়ন্ত্রণ হারাবে করোনা পরিস্থিতি।

রাঙামাটি জেলা সিভিল সার্জেনের তথ্য মতে, গত ৬ মে রাঙামাটিতে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এরপর একে বাড়তে থাকে এর সংখ্যা।

এরই মধ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে রাঙামাটিতে মৃত্যু হয়েছে ছয়জনের।

আর করোনা জয় করে সুস্থ্য হয়েছে ৮৫জন। আর বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টইনে আছে ৭৪জন।

চিকিৎসকেরা বলছেন, আক্রান্ত হলেও রাঙামাটি করোনায় মৃত্যুর হার একে বারে কম।

অভিযোগ রয়েছে, রাঙামাটি ১০টি উপজেলা থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে মাত্র ১০০টি। প্রতি উপজেলা থেকে ১০টি করে নমুনা সংগ্রহ করা হলেও বাদ পরছে অনেকে। এছাড়া নমুনা জটলা তো রয়েছেই। এছাড়া সঠিক সময় মিলছে করোনা রোগীদের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টও। এতে রাঙামাটিতে দ্রুত ছড়িয়ে পরছে করোনা সংক্রমণ। যা নিয়ন্ত্রণ করতে হিমশিম খাচ্ছেন স্থানীয় প্রশাসন।

রাঙামাটি করোনা নমুনা সংগ্রহকারী চিকিৎসক ডা. মোস্তফা কামাল জানান, রাঙামাটি ১০টি উপজেলার মধ্যে প্রতি উপজেলা থেকে প্রতিদিন ১০টি করে নমুনা নেওয়া সম্ভব হয়। আর সে নমুনাগুলো চট্টগ্রামে ফৌসদার হাট বিআইটিআইডি, সিভাসু ও চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে রিপোর্ট দিলে, আমরা রিপোর্ট রোগীদের কাছে ফোন করে পৌঁছে দিতে পারি। যদি রাঙামাটিতে টেস্টিং ল্যাবের ব্যবস্থা থাকতো তাহলে রাঙামাটিবাসীকে
নমুনার রিপোর্ট পেতে সময় লাগতো না।

অন্যদিকে রাঙামাটিতে টেস্টিং ল্যাব ও ভেন্টিলেটর স্থাপনের দাবি জানিয়ে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।

এ ব্যাপারে তিন পার্বত্য জেলার সংরক্ষতি মহিলা আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জানান, রাঙামাটিতে এমনিতেই নাজুক চিকিৎসা ব্যবস্থা। নানা সংকটে রয়েছে হাসপাতালগুলো। তার মধ্যে আইসিইউ ও অক্সিজেন ছাড়া করোনা রোগীকে চিকিৎসা দেওয়াটা খুবই মুশকিল। এখন সবচেয়ে বেশি যে সমস্যা সেটা হচ্ছে টেস্টিং ল্যাব। কারণ রাঙামাটি থেকে যেসব
নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে সেগুলো পরীক্ষা করা হচ্ছে চট্টগ্রামে। যার কারণে করোনা শনাক্ত রোগীরা পাচ্ছে সঠিক সময় রিপোর্ট। আর রিপোর্ট পেতে বিলম্বিত হওয়ার কারণে বৃদ্ধি পাচ্ছে করোনা রোগী। তাই রাঙামাটি দ্রুত টেস্টিং ল্যাব ও ভেন্টিলেটর ইউনিট স্থাপনের দাবি জানিয়ে আসছে রাঙামাটিবাসী।

রাঙামাটি জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ জানান, রাঙামাটিতে করোনা সংক্রমণ রোধ করতে রাত-দিন কাজ মাঠে কাজ করে যাচ্ছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। এখনো বিকেল চারটার মধ্যে বন্ধ থাকে সব হাট-বাজার দোকান পাঠ। শুধু ওষুধের দোকান ছাড়া। মাস্ক ছাড়া কেউ বাইরে গেলেই ব্যবস্থা নিচ্ছে প্রশাসন। এছাড়া এলাকায় এলাকায় জনসচেতনতামূলক প্রচারণ অব্যাহত রয়েছে। একই সাথে ত্রাণ সহায়তাও অব্যাহত রয়েছে।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর