বাবা-মায়ের সাথে অভিমান করে বাড়ি ছেড়েছিলেন নওগাঁ জেলার মান্দা থানার ১৯ বছরের এক কিশোরী। দীর্ঘ দেড় মাস পর গোপন সংবাদের ভিক্তিতে অভিযান চালিয়ে দৌলতদিয়া যৌনপল্লী থেকে সেই কিশোরীকে উদ্ধার করে র্যাব-৮। আজ মঙ্গলবার মেয়েটিকে তার বাবা-মায়ের কাছে তুলে দেওয়া হয়।
চাকরি দেবার কথা বলে এক দালাল ওই কিশোরীকে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে নিয়ে একলাখ ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয় বলে জানিয়েছে র্যাব।
ফরিদপুর র্যাব-৮ ক্যাম্পের কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রইছ উদ্দিন জানান, দেড়মাস আগে ওই কিশোরী বাড়ি থেকে রাগ করে রাজশাহী চলে যায়। সেখানকার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অপরিচিত এক ব্যক্তি কিশোরীটিকে চাকরি দেবার কথা বলে দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে নিয়ে যায়। এরপর সেখানকার সর্দারনী শোভার কাছে ১ লাখ ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয়। সেখানে কিশোরীটিকে জোরপূর্বক দেহ ব্যবসায় বাধ্য করা হয়।
রইছ উদ্দিন বলেন, কিশোরীটি যৌনপল্লী থেকে পরিত্রাণ চাইলে তার উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানো হতো। তাকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে দেহ ব্যবসায় বাধ্য করা হয়। মেয়েকে না পেয়ে কিশোরীর বাবা মান্দা থানায় একটি জিডি করেন। এরই সূত্র ধরে ফরিদপুর র্যাব-৮ ক্যাম্পের একটি দল গোপন সংবাদের ভিক্তিতে সোমবার রাতে গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে অভিযান চালায়। পল্লীর সর্দারনী শোভার ঘর থেকে কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়। তবে শোভা কৌশলে পালিয়ে যায়। মঙ্গলবার র্যাব কিশোরীকে তার বাবা-মায়ের কাছে হস্তান্তর করেছে।
