জীবিকা হারিয়ে চার লাখ প্রবাসী হতবিহ্বল

লাকমিনা জেসমিন সোমা

করোনার মধ্যে বৈদেশিক শ্রমবাজার থেকে ছিটকে পড়েছে কমপক্ষে চার লাখ প্রবাসী বাংলাদেশি; যাদের অন্তত ৮০ ভাগেরই বিকল্প আয়ের কোনো উৎস নেই। গেল পাঁচ মাসে বিদেশে যেতে পারেননি অন্তত আরো তিন লাখ। দেশের অর্থনীতির জন্য এটিকে অশনি সংকেত বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এমনকি করোনা পরবর্তী বিশ্বে নতুন করে কর্মী পাঠানো-ই সরকারের সামনে এখন বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন-জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো।

news24bd.tv

বৈশ্বিক করোনা সংকট শুরুর সময় ছুটিতে এসে আটকা পড়েছেন প্রায় দুই লাখ প্রবাসী কর্মী। সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েও শেষ পর্যন্ত যেতে পারেননি অন্তত আরো এক লাখ। আর এপ্রিল থেকে আগস্ট- গত চার মাসে বিশেষ ফ্লাইটে দেশে ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছেন আরো প্রায় এক লাখ কর্মী। জীবিকার পথ বন্ধ হওয়ায় এই চার লাখ মানুষ এখন হতবিহবল।

news24bd.tv

ব্রাক অভিবাসন কর্মসূচির প্রধান শরিফুল হাসান বলেছেন, এসব প্রবাসীদের পরিবারের কথা ধরলে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা আরো বেশি হবে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে দেশের অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব পড়বে।

অভিবাসন কর্মীদের নিয়ে কাজ করা জাতিসংঘের সংস্থা আইওএম বলছে, বিদেশ-ফেরত ৭০ শতাংশ কর্মী-ই এখন জীবিকা সংকটে।

news24bd.tv

বেসরকারকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্রাকের জরিপ অনুযায়ী, ফেরত আসা ৮৭ ভাগ কর্মীর আয়ের বিকল্প কোনো উৎস নেই।  

অভিবাসীদের নিয়ে কাজ করা রামরুর জরিপ বলছে, বিদেশে চাকরি হারানোয় করোনার মধ্যে ৬১ শতাংশ পরিবারে রেমিটেন্স আসা পুরোপুরি বন্ধ।

ফিরে আসা কর্মীদের কর্মসংস্থানে সরকার পৃথকভাবে ৭০০ কোটি টাকার ঋণ তহবিল গঠন করলেও শর্তের বেড়াজালে সুবিধা বঞ্চিত বেশিরভাগ কর্মী।

news24bd.tv

জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো- বিএমইটির মহাপরিচালক শামসুল আলম বলেছেন, বৈশ্বিক মহামারির কারণে নতুন করে বিদেশে দক্ষ শ্রমিক পাঠানো-ই এখন সরকারের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর