ছেলে নিখোঁজ হওয়ার পর অপহরণ, খুন ও গুমের অভিযোগ এনে মামলা করেছিলেন বাবা। ‘চাক্ষুস সাক্ষী’ জবানবন্দীও দিয়েছেন আদালতে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ৫ আসামির কেউ দেড় বছর, কেউ আবার দেড় মাস হাজতবাস করেছেন। কিন্তু ঘটনার ৬ বছরের মাথায় আদালতে হাজির হয়েছেন খোদ ‘মৃত ব্যক্তি’।
বুধবার নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আফতাবুজ্জামানের আদালতে কথিত মৃত ব্যক্তি মামুনকে হাজির করা হয়। পরে আদালত একজন আইনজীবীর জিম্মায় মামুনকে ছেড়েছেন।
জানা গেছে, ২০১৪ সালের ১০ মে চাঁদপুরের মতলব উপজেলায় নিজ বাড়ি থেকে বেড়িয়ে নিখোঁজ জন মামুন। তখন কোনো সাধারণ ডায়েরি বা অভিযোগ করা হয়নি।
এক মেয়ের সাথে প্রেম করায় মামুনকে ‘অপহরণ করে খুন করার উদ্দেশ্যে গুম’-এর অভিযোগ এনে ফতুল্লা থানায় মামলা করেন তিনি। মামলায় আসামি করা হয় মামুনের কথিত প্রেমিকা তসলিমা, তার বাবা রকমত আলী, ভাই রফিক, খালাতো ভাই সাগর ও সাত্তার মোল্লাকে।
মামলার পরে সকল আসামিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে মাকসুদা বেগম নামের এক নারীর চাক্ষুস সাক্ষী হিসেবে দেওয়া ‘অপহরণ করে খুন করার উদ্দেশ্যে গুম’র বর্ণনা ১৬১ ধারায় জবানবন্দী রেকর্ড করা হয়। পরে আসামি কথিত প্রেমিকা তসলিমা ও তার ভাই রফিক দেড় বছর কারাবাস করেছেন। আর আসামি রকমত আলী, সাগর ও সাত্তার ছিলেন দেড় থেকে তিন মাস।
সম্প্রতি জানা গেছে, ৬ বছর আগে ‘মৃত’ সেই মামুন জীবিত আছেন। পরে বাদী পক্ষের আইনজীবীরা সেই মামুনকে আদালতে হাজির করেছেন।
আসামিদের আইনজীবী এমদাদ হোসেন সোহেল শুনানি শেষে সাংবাদিকদের বলেন, নিরীহ-নিরপরাধ মানুষগুলো আজ জেল খেটেছে। আমরা তার বিচার চাই। রাষ্ট্রের কাছে ক্ষতিপূরণ চাই। পাশাপাশি বাদী কেন মিথ্যা মামলা করলো, তার জন্য দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
news24bd.tv তৌহিদ