নিজের ওপরে না পড়লে কেউ বুঝতে চায় না

নিজের ওপরে না পড়লে কেউ বুঝতে চায় না

শওগাত আলী সাগর

আশ্চর্য! ব্যক্তিগত সম্পৃক্ততা না থাকলে মানুষ কোনো সমস্যাকেই নিজের বলে ভাবতে চায় না! নিজের জীবনের ঝুঁকি থাকলেও সেই ঝুঁকিকে অবিশ্বাসের ঝুঁড়িতে রেখে ডাস্টবিনে ফেলে দিতে চায়! 

মহামারী করোনা ভাইরাসে এতো এতো মানুষের মৃত্যুর পরও মানুষ কেন স্বাস্থ্য বিধি মানতে চায় না, নিয়ম ভাঙায় কেন তার এতো প্রবল উৎসাহ তার কারণ বিশ্লেষণ করতে গিয়ে মনোবিজ্ঞানীরা এই ধরনের উপসংহার টানতে চাইছেন।

তথ্যগুলো অবশ্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের। মার্কিনীরা কেন স্বাস্থ্যবিধি ভাঙতে এতো আগ্রহী সে ব্যাপারে একটি জরীপ চালিয়েছিলো পিউ রিসার্চ সেন্টার।

 ২ লাখ মানুষের মৃত্যু আর ৪ লাখ মানুষের হাসপাতালে ভর্তি হ্ওয়ার খবর সত্ত্বেও জরিপে অংশ নেয়া সিংহভাগ মার্কিনী বলেছেন, করোনায় কেউ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন কিংবা মারা গেছেন এমন কাউকে তারা তাদের আশপাশে দেখেন নি।

আর দেখেননি বলে তাদের কাছে ২ লাখ বা ৪ লাখ নিছক সংখ্যাই মনে হয়েছে, মনে হয়েছে এগুলো খবরের বিষয়বস্তু, বাস্তবের বিষয় নয়।


আরও পড়ুন: ফাঁড়ি ইনচার্জ আকবর এখনো লাপাত্তা


এটাও সম্ভব? প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে জরিপের ফলাফল নিয়ে পিউ রিসার্চ স্মরণাপন্ন হয়েছিলো মনোবিজ্ঞানদের। মনোবিজ্ঞানীরা সাফ সাফ বলেছেন, ব্যক্তিকে স্পর্শ করে না যেইসব তথ্য, সেই তথ্যের উপর ভিত্তি করে মানুষ তার স্বভাবের পরিবর্তন ঘটায় না।  

কিন্তু, এতো যে খবর পরিবেশিত হলো, রেডিও, টিভি, পত্রিকায়-? মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, সেই সব খবর বা খবরে পরিবেশিত তথ্যে ততোটা ‘এমপ্যাথি’ তৈরি করতে পারেনি হয়তো বা।

স্বাস্থ্যবিধি মানা- না মানায় রাজনীতিও ভূমিকা রেখেছে, রিপাবলিকান সমর্থকরা মনে করছে- কোভিড নিয়ে বাড়াবাড়ি হয়েছে, আসলে এটা অতো বড় কিছু না। তবে রাজনীতির বাইরে সাধারণ মার্কিনীদের মানসিক অবস্থান আর প্রবণতাটুকুই মনোবিজ্ঞানীদের গভীরভাবে ভাবাচ্ছে।

শওগাত আলী সাগর, প্রধান সম্পাদক, নতুন দেশ, কানাডা

news24bd.tv নাজিম