দামি-দামি উপহার দিয়ে ৫০ ‘কিশোরীকে’ ধর্ষণ

দামি-দামি উপহার দিয়ে ৫০ ‘কিশোরীকে’ ধর্ষণ

অনলাইন ডেস্ক

ভয়ঙ্কর যৌন লালসা! গত ১০ বছর ধরে ৫০ জনের বেশি নাবালিকাকে ধর্ষণ। সেই ভিডিও, ছবি তুলে ডার্ক ওয়েবে বিক্রিও করা হচ্ছিল। কুকর্ম ফাঁস হয়ে যায়, তাই নির্যাতিতাদের মুখ বন্ধ রাখতে দেওয়া হত দামী-দামী উপহার।

তবে শেষরক্ষা হলো না।

মঙ্গলবার ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা বা সিবিআইয়ের জালে ধরা পড়ল উত্তরপ্রদেশে সরকারি প্রকৌশলী। জেরায় নিজের কৃতকর্মের কথা স্বীকার করেছে সে।

আরও পড়ুন: দুই মাস ধরে নিজের মেয়েকে ধর্ষণ, দাদা-দাদিকে বলেও রেহাই পায়নি কিশোরী!

উত্তরপ্রদেশের বান্দা, চিত্রকূট এবং হামিরপুরে একাধিক নাবালিকাকে যৌন নির্যাতনের খবর পাওয়া গেছে। চলতি বছরের শুরুতে সিবিআইয়ের কাছে এ নিয়ে অভিযোগ দায়ের হয়।

তারই ভিত্তিতে তদন্তে নেমেছিল সিবিআইয়ের বিশেষ দল।

অবশেষে ভারতের বান্দা থেকে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে তারা। জানা গেছে, অভিযুক্তর বাড়িতে তল্লাশি করে আট লাখ নগদ টাকা, বৈদ্যুতিক গ্যাজেটস, ৮টি মোবাইল, সেক্স টয়েজ, নাবালিকাদের যৌন নির্যাতন করার সামগ্রী, একাধিক ল্যাপটপ উদ্ধার হয়েছে।

আরও পড়ুন: নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন, নির্যাতনকারীদের বাবা ডেকেও হয়নি কাজ

অভিযুক্ত ব্যক্তি উত্তরপ্রদেশে সেচ দফতরে জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, গত ১০ বছরে ৫ থেকে ১৬ বছর বয়সী প্রায় ৫০ জন নাবালিকাকে ধর্ষণ, যৌন হেনস্তা করেছে সে। এমনকী, সেই ধর্ষণ বা লালসা মেটানোর সেই সমস্ত ভিডিও মোবাইল, ল্যাপটপ বন্দি করত। পরে সেই ছবি, ভিডিও ডার্ক ওয়েবে বিক্রিও করত। এর বিনিময়ে মোটা টাকা পেত অভিযুক্ত।

৫-৬ জন মিলে ধর্ষণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে

সিবিআই জানিয়েছে, অভিযুক্তর ই-মেইল খতিয়ে দেখা হয়েছে। তাতে এক ভয়ঙ্কর তথ্য উঠে এসেছে। জানা গেছে, দেশি ও বিদেশি নাগরিকদের নাবালিকাদের যৌনতার ভিডিও, ছবি সরবরাহ করত সে। এর বিনিময়ে মোটা টাকাও নিত।

আরও পড়ুন: ধর্ম পরিচয় গোপন রেখে ধর্ষণ, ভিডিও দেখিয়ে ৫ বার ধর্ষণ

news24bd.tv তৌহিদ

সম্পর্কিত খবর