স্যান্ট্যাক্লজের স্বাস্থ্য নিয়ে উৎকণ্ঠা

স্যান্ট্যাক্লজের স্বাস্থ্য নিয়ে উৎকণ্ঠা

নাহিদ জিহান

বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে সবচেয়ে বেশি কাবু হয়েছে বয়োজ্যেষ্ঠরা। মৃত্যুর হারও বয়স্কদের বেশি। আর তাই এবারের ক্রিসমাসে ভীষণ প্রিয় স্যান্ট্যাক্লজের স্বাস্থ্য নিয়ে উৎকণ্ঠায় পড়তে দেখা গেছে অনেক শিশুকে।

কিন্তু এ বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, স্যান্টাক্লজকে করোনা ভাইরাস ছুঁতেও পারবে না।

ক্রিসমাস মানেই অনেক অনেক উপহার। আর সেই উপহার নিয়ে আসে স্যান্টাক্লজ। ব্যাপক জনপ্রিয় এই স্যান্টাক্লজ শুধু উপহারই আনে না, শিশুদের অনেক ইচ্ছাপূরণের দায়িত্বটাও পালন করেন। কিন্তু স্যান্টাক্লজ অনেক বেশি বুড়ো হওয়ায়, তাকে ঘিরে এবার শিশুরা বেশ দুশ্চিন্তাগ্রস্ত।

করোনা ভাইরাস বয়স্কদের বেশি কাবু করে বলে, স্যান্টার স্বাস্থ্য নিয়ে তারা খুবই চিন্তিত।

আর এই উৎকণ্ঠায় অনেক শিশুই চিঠি লিখেছে, স্যান্টাকে স্যানিটাইজ়ার ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে। কিন্তু তাদের এই উৎকন্ঠায় ভরসা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তা মারিয়া ভ্যান কারকোভ।

তিনি জানান, স্যান্টার করোনা হবে না।

তিনি বলেন, স্যান্টাক্লজ়ের বয়স অনেক বেশি। তাই তাঁকে নিয়ে চিন্তা হবেই। তবে চিন্তার কিছু নেই। আমরা জানতে পেরেছি, করোনা ভাইরাস সান্তাকে ছুঁতেই পারবে না।

সাম্প্রতিক একটি পরিসংখ্যান বলছে, দশ বছরের নীচে পাঁচটি শিশুর মধ্যে একজন বিশ্বাস করে যে সত্যিই সান্টাক্লজ় বলে এমন কেউ রয়েছে। ক্রিসমাসের আগেরদিন গভীররাতে এসে তার জন্য উপহার রেখে যায়। মহামারীতে নানা বিধি-নিষেধে শিশুদের মনোজগতে এমনিতেই বিরূপ প্রভাব ফেলছে। আর তাই শিশুদের এই ভয়কে দূর করতে ডব্লিউএইচও’র মতো একটি বৈজ্ঞানিক সংস্থার মিথ্যাচারকে সাদরে গ্রহণ করছেন মনোবিদরা।

news24bd.tv তৌহিদ

সম্পর্কিত খবর