ধর্ষণচেষ্টা, চিৎকার করায় নাতিকে হত্যা

ধর্ষণচেষ্টা, চিৎকার করায় নাতিকে হত্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক

যশোরের কেশবপুরে নয়বছরের নাতি রত্নাকে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যার দায় স্বীকার করেছে ইসমাইল হোসেন (৩২)। আজ দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন তিনি।  

এর আগে ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গতকাল গভীর রাতে পটুয়াখালির কলাপাড়া থেকে তাকে আটক করা হয়।  

ইসমাইল হোসেন কেশবপুর উপজেলার আলতাপোল সরদারপাড়ার কালাচাঁদ সরদারের ছেলে।

ইসমাইল হোসেন সম্পর্কে রত্নার নানা হয়।  

পিবিআই যশোরের পুলিশ সুপার রেশমা শারমীন জানান, গত ২১ নভেম্বর সন্ধ্যায় রত্না খাতুনের মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় তার ঘর থেকে উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে ধর্ষণ ও হত্যার বিষয়টি উঠে আসায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করেন। মামলাটির তদন্ত ভার পেয়ে পিবিআই’র এসআই স্নেহাশিস দাশ তদন্ত কাজ শুরু করেন এবং তিনি এ ঘটনায় ইসমাইল হোসেনের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পান।

এরপর গত ৩ জানুয়ারি পটুয়াখালির কলাপাড়ায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।  

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, ভিকটিম রত্না খাতুনের বাবা তার নানার বাড়িতেই বসবাস করেন। তার (রত্নার বাবা) মামা ইসমাইল হোসেন গত ২১ নভেম্বর বিকেলে বাড়িতে আসেন।

নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের সেক্রেটারিসহ দুইজনের বিরুদ্ধে আইভীর মামলা

১০ শতাংশ কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করল ৭৬৫০ জন

ভারত থেকে ভ্যাকসিন আমদানিতে ওষুধ প্রশাসনের অনুমতি

এসময় রত্না খাতুন ঘরে একা টিভি দেখছিল। ইসমাইল ওই সময় রত্নাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। চিৎকার দিলে ইসমাইল নাক-মুখ চেপে ধরে। এতে রত্না নিস্তেজ হয়ে পড়ে। এরপর ইসমাইল রত্নার গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঘরের আড়ার সাথে ঝুঁলিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়।

পুলিশ সুপার রেশমা শারমীন আরও জানান, আজ ইসমাইল হোসেনকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গৌতম মল্লিকের আদালতে সোপর্দ করলে সে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। জবানবন্দি গ্রহণ শেষে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

news24bd.tv নাজিম