সম্প্রতি আমরা বেশ ক’জন সাইন্টিস্ট হায়ার করেছি। প্রায় শতাধিক আবেদন পড়েছিলো। প্রাথমিক বাছাইয়ের পর ভার্চুয়াল ইন্টারভিউর জন্য ডাকা হয়েছে প্রায় কুড়ি জনকে। আমেরিকার সেরা সেরা স্কুল থেকে পিএইচডি-পোস্টডক করা ছেলে-মেয়ে ওরা।
কারো চেয়ে কেউ যে মেধাবী কম নয়। কিন্তু সবাইকে তো নেয়া যাবে না। তাই ইন্টারভিউ প্রক্রিয়াটা খুব রিগোরাস করা হয়। অনেক বিষয় বিবেচনা করা হয়।কে কতো ভালো পাবলিকেশন করেছে। ফার্স্ট অথারশিপ হিসেবে কয়টা পাবলিকেশন করেছে। তাদের কাজে (গবেষণায়) কতোটা ডাইভার্সিটি ছিলো। প্রেজেন্টেশনের (ইন্টারভিউর) সময় কতোটা কনফিডেন্ট ছিলো। প্রেজেন্টেশনের পর প্রায় দিনভর প্রার্থীকে বিভিন্ন সাইন্টিস্টদের সাথে মিট করতে হয়। পরবর্তীতে সেগুলো থেকে ফিডব্যাক নেয়া হয়। ক্যান্ডিডেটের সাথে যাদের মিটিং থাকে তারা আবার আলাদা করে মিটিং করে প্রার্থীর বিষয়গুলো খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে আলোচনা-পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়। পুরু প্রক্রিয়াটা এতোই সচ্ছ্ব রাখা হয় যে, প্রার্থী বাছাই নিয়ে কারো মনে সামান্যতম দ্বিধা থাকে না।
আমার সৌভাগ্য যে প্রতিটি ক্যান্ডিডেটের সাথে আমার আলাদা করে ওয়ান-অন-ওয়ান মিটিং ছিলো। টিম মনে করেছে আমার যাচাইয়ের একটা ভ্যালু আছে। টিমের উচ্চপদস্থরা এটা ঠিক করে, কার কার সাথে ক্যান্ডিডেটদের আলাদা মিটিং হবে। কাদের ফিডব্যাকটা গুরুত্বপূর্ণ। ফিডব্যাকের সময় আমাদেরকে রেটিং করতে হয়। এবং নিদির্ষ্ট করে উল্লেখ করতে হয় প্রার্থীর কোন বিষয়গুলো উল্লেখযোগ্য।
আমাদের সবসময় লক্ষ্য থাকে, এমন প্রার্থীকে নেবো, যে টিমের ফিউচার ভ্যালু হবে। যে টিমে নতুন কিছুর সূচনা করতে পারবে। যার কাছ থেকে আমরা কিছু শিখতে পারবো। যার ফিউচার লিডারশিপের একটা নমুনা লক্ষ্য করা যায়। আমি যতোগুলো প্রার্থীকে হাই রেটিং করেছি, সবসময় তাদের ভিতর ডাইভার্স নলেজটাকে গুরুত্ব দিয়েছি। দেখেছি, আমার চেয়ে তার ভিতর ভিন্ন কি আছে। খুব ডিটেইল নলেজ রাখে কিনা সেটা যাচাইয়ের চেষ্টা করেছি। এবং দেখেছি, আমার রেটিং টিম লিডারদের রেটিং-এর সাথে ম্যাচ করে কিনা। এই যে ভিভিড, ভাইব্রেন্ট, ডাইভার্সিফাইড নলেজ সম্পন্ন একটা প্রার্থীকে যাচাই করা, নির্বাচিত করা—এই কাজটা চ্যালেঞ্জিং। এটার জন্য আমাকেও একটা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে আসতে হয়েছে। যে কারণে আমার ভিতর সেই কমিটমেন্ট, সেই অভিজ্ঞতা এবং সেটার গুরুত্বটা তৈরি হয়েছে। ইউরোপ-আমেরিকায় গবেষণা করে এই অভিজ্ঞতাটুকু অর্জন করেছি। এটার জন্য আনন্দ পাই।
একই পরিবারের ৫ জনের জানাজা একসঙ্গে
ডিএসপি মেয়েকে ইন্সপেক্টর বাবার স্যালুট; আবেগে ভাসছেন সোশ্যাল মিডিয়া
রাজধানীর যেসব এলাকায় কাল গ্যাস থাকবে না !
একটা প্রার্থীকে বাছাই করতে গিয়ে তার জাতীয়তা দেখিনি। তার গায়ের রং দেখিনি। তার লিঙ্গ বিবেচনা করিনি। সে কোন স্টেইট থেকে এলো, কোন রঙের কাপড় পড়ে এলো এগুলো দেখিনি। ইউটিউবে কে কতো ফেইমাস, এগুলো বিবেচনা করা হয়নি। এমনও হয়েছে যে, একটা ক্যান্ডিডেইট প্রেজেন্ট (জুমে) করার সময় তার ঘাড়ে পোষ্য বিড়ালটা উঠে এসেছে দুই-তিন বার। এগুলো পর্যন্ত কেয়ার করা হয়নি। অনেক স্টুডেন্টদের একটা রুমেই বসবাস। সুতরাং তার পোষ্য বিড়াল বা কুকুর কোথায় যাবে! তাহলে কী দেখা হয়েছে—শুধুমাত্র কাজ। তার দক্ষতা। সে যেই কাজের জন্য আবেদন করেছে সেটার জন্য উপযুক্ত কিনা।
একটা সঠিক মানুষকে যদি বাছাই করা না হয়, তাহলে পুরু টিমের প্রোডাক্টিভিটিতে আস্তে আস্তে ঘুণ ধরতে থাকে। আর একটা টিমের প্রোডাক্টিভিটি হ্রাস পেলে প্রতিষ্ঠান হুমকিতে পড়ে। —রাষ্ট্র হুমকিতে পড়ে। একটা ঘুণে ধরা মানুষ একটা অথেনটিক পটেনশল মানুষ বাছাই করতে পারে না। পশ্চিমের দেশগুলো যে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে, তার গভীরে বহু কারণে মধ্যে এটা অগ্রগণ্য। —সিলেক্ট দ্যা রাইট পারসন ফর দ্যা রাইট পারপাস! ইভেন ওয়ান পারসন ইজ ইনাফ টু রুইন ইউর সিস্টেম!
……
নিউজার্সি, যুক্তরাষ্ট্র।
news24bd.tv / কামরুল