রিয়াদে বিমান হামলা চালানোর চেষ্টার প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রের নিন্দা

রিয়াদে বিমান হামলা চালানোর চেষ্টার প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রের নিন্দা

অনলাইন ডেস্ক

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর রোবাবার রিয়াদে বিমান হামলা চেষ্টার নিন্দা জানিয়েছে এবং বলেছে যেকেউ সৌদি কিংডমের স্থায়িত্বকে ক্ষুন্ন করার চেষ্টা করেছে তাকে চিহ্নিত করা হবে। শনিবার সৌদির রাজধানীতে এই হামলা ব্যহত হয়েছিলো কারণ, বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ছিলো। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের ধারণা বেসামরিক লোকদের টার্গেট করে এই হামলা চালিয়েছিলো। খবর আরব নিউজের।

 

এতে বলা হয়েছে "এই জাতীয় হামলা আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘণ করে এবং শান্তি ও স্থিতিশীলতার প্রচারের সমস্ত প্রচেষ্টাকে ক্ষুণ্ণ করে,"। “যেমন আমরা ইয়েমেনে যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য নীতিগত কূটনীতির মাধ্যমে এই অঞ্চলে উত্তেজনাকমিয়ে আনার কাজ করছি। আমরা আমাদের অংশীদার সৌদি আরবকেও তার ভূখণ্ডে হামলার বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা করতে এবং যারা স্থিতিশীলতা নষ্ট করার চেষ্টা করে তাদের ধরে রাখতে সহায়তা করব। " 

ব্রিটেনও এই হামলার নিন্দা করেছে, যা "আঞ্চলিক শান্তিকে ক্ষুন্ন করেছ।

"

পররাষ্ট্র সচিব ডমিনিক রাব বলেছে, "আমরা এই ধরণের হামলা শক্তহাতে প্রতিহত করব এবং আমাদের সহযোগী সৌদি আরবের পাশে থাকব। " 

আমেরিকা ইয়েমেনে ইরান-সমর্থিত হুতি জঙ্গি গোষ্ঠীকে বিদেশী সন্ত্রাসী সংগঠন হিসাবে মনোনীত করার কয়েক দিন পরে এই হামলা হয়। ইয়েমেনিয়ানরা রোবাবার হুতিদের অপরাধ তুলে ধরতে এবং অন্যান্য দেশকে যুক্তরাষ্ট্রকে অনুসরণ করতে রাজি করার জন্য একটি প্রচারণা শুরু করে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

আয়োজকরা বলেছিলেন যে তারা "ইয়েমেনীদের বিরুদ্ধে হাতি মিলিশিয়া কর্তৃক সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ড সম্পর্কে বিশ্বকে অবহিত করতে এবং সমস্ত মুক্ত দেশকে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হিসাবে মনোনীত করার আহ্বান জানাতে চায়। "


কুকুর করবে করোনা সনাক্ত


আয়োজকরা বলেছে, "তারা বিশ্বকে জানান দিতে চায় যে হুতি মিলিশিয়া কিভাবে ইয়েমেনিদের উপর নির্যাতন চালায় এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশকেও হুতিদের সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত করতে আহবান জানান। "

ইয়েমেনের কয়েক ডজন সাংবাদিক, মানবাধিকারকর্মী, বুদ্ধিজীবী এবং কর্মকর্তারা এই গ্রুপের মানবাধিকার লঙ্ঘনের নিন্দা করেছেন। হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে 'হুতিটেরিরিজমইয়েমেন' এবং ছবি ও ভিডিও শেয়ার করে দেখিয়েছে যে কিভাবে হুতিরা মানুষের ঘরবাড়ি ভেঙ্গে চুরমার করে দিচ্ছে।

"হুতিরা বেসামরিকদের জনগণের উপর যুদ্ধ চালিয়েছিল," মোহাম্মদ আবদুল্লাহ কাসেম নামে একজন সমাজকর্মী বলেছে। " এখনও তারা তাইজ, মারেব ও আল-বায়েদার উপর আক্রমণ চালাচ্ছে।

তারা জোর করে ইয়েমেনে শাসন চালাতে চায়। তারা বহু শতাব্দী পূর্বে যে আদর্শ পশ্চিমাংশ ধ্বংস করেছিলো সেই তত্ত্বের উপর ভিত্তি করে বিভাজন করেত চায় ইয়েমেনকে।   

যাহোক, ইয়েমেন সরকার এবং হুতিদের মধ্যে রোবাবার আলোচনা শুরু হয়েছে বন্দি বিনিময়ের জন্য।  

জর্ডানের আম্মানে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকের লক্ষ্য ছিল প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মাহমুদ আল-সুবাইহি এবং ইয়েমেনের রাষ্ট্রপতির ভাই নাসের মনসুর হাদির মতো উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাসহ প্রায় ৩০০ বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার।

এর আগে অক্টোবরে আলোচনার ফলে ১ হাজার ৬৫ জন বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। যুদ্ধের অবসানের জন্য একটি চুক্তি করার আশা পুনরায় উথ্থিত হয়েছিলো।

সূত্র: আরব নিউজ থেকে অনুবাদকৃত

news24bd.tv আয়শা