এমপি পাপুলের  চার বছরের সাজা কুয়েতের আদালতে

এমপি পাপুলের চার বছরের সাজা কুয়েতের আদালতে

নিজস্ব প্রতিবেদক

মানবপাচার ও অর্থপাচারের অভিযোগে লক্ষ্মীপুর-২ (রায়পুর) আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম ওরফে পাপুলকে চার বছরের সাজা দিয়েছে কুয়েতের আদালত। সেই সাথে আদালত তাকে ১৯ লাখ দিনারও জরিমানা করেছে।

বর্তমানে বাংলাদেশের এই সংসদ সদস্য সে দেশের কারাগারে রয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) পাপুলের মামলার রায়  ঘোষণা করা হয় ।

গত বছরের ২৬ নভেম্বর এ মামলার শুনানি শেষে কুয়েতের অপরাধ আদালতের বিচারক আব্দুল্লাহ আল-ওসমান এই দিন ধার্য করেন।

অর্থ ও মানবপাচার এবং ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে গত বছরের ৬ জুন রাতে কুয়েতের মুশরেফ আবাসিক এলাকা থেকে পাপুলকে গ্রেপ্তার করে দেশটির অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। একই বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর তার বিরুদ্ধে করা মামলার পূর্ণাঙ্গ শুনানি শুরু হয়।

টাইম ট্রাভেল কুরআনের পথেই হাটছে বিজ্ঞান

চৌদ্দশ বছর পুর্বের নবী (সা.) এর বাণীকে মেনে নিল বিজ্ঞান
মহানবী (সা.) এর বাণীকে সত্য প্রমাণ করল বিজ্ঞান

অনুসন্ধানে কুয়েতের সিআইডি জানতে পারে, কুয়েতে পাপুলের একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে।

তিনি কুয়েতে ভিসা বাণিজ্যের নামে মানবপাচার ও অবৈধ মুদ্রাপাচারচক্রের সঙ্গে যুক্ত।

সিআইডি কর্মকর্তারা পাঁচ বাংলাদেশিকে জেরা করে জানতে পারেন, কুয়েতে যাওয়ার জন্য তারা প্রত্যেকেই পাপুলকে তিন হাজার দিনার করে দিয়েছিলেন। এছাড়া প্রতিবছর তারা ভিসা নবায়নের জন্য তাকে বাড়তি টাকা দেন। তাদের সাক্ষ্যের ভিত্তিতে পাপুলের বিরুদ্ধে মানবপাচার ও অবৈধ মুদ্রাপাচারের অভিযোগ আনেন তদন্ত কর্মকর্তারা।

পাপুলের সঙ্গে সম্পৃক্ততা থাকা এবং তাকে সহযোগিতা করার অভিযোগে কুয়েতের পার্লামেন্টের দুই সদস্য সাদাউন হামাদ ও সালাহ খুরশিদ, জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তা মেজর জেনারেল শেখ মাজন আল-জারাহসহ মোট ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। এরই মধ্যে মুচলেকা দিয়ে আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন কুয়েতের দুই সংসদ সদস্য। আর ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তা মেজর জেনারেল শেখ মাজন আল-জারাহকে জামিন দেন আদালত।

গ্রেপ্তারের পর এমপি পাপুলের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান মারাফিয়া কুয়েতিয়াকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে কুয়েত সরকার। প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে সরকারের কয়েকটি চুক্তি ও কাজের আদেশও বাতিল করা হয়েছে।

গত বছরের মার্চে কুয়েতে যাওয়ার পর থেকে এমপি পাপুল দেশটির সিআইডি কর্মকর্তাদের নজরবন্দি ছিলেন বলেও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। সংসদ সদস্য কাজী সহিদ ইসলাম পাপুল সাধারণ পাসপোর্ট নিয়ে কুয়েতে গিয়েছিলেন। বাংলাদেশেও পাপুল ও তার পরিবারের সদস্যদের বিষয়ে তদন্ত করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

news24bd.tv/আলী