মিয়ানমারের সামরিক অভ্যুত্থানের নেপথ্যে

মিয়ানমারের সামরিক অভ্যুত্থানের নেপথ্যে

অনলাইন ডেস্ক

আজ সোমবার ভোরে মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) নেত্রী অং সান সু চি এবং দেশটির রাষ্ট্রপতি উইন মিনতকে আটক করেছে সেনাবাহিনী। গত বছরের সাধারণ নির্বাচনে করা প্রতারণার প্রতিক্রিয়ায় সরকারের জ্যেষ্ঠ নেতাদের আটক করেছে বলে দেশটির সেনাবাহিনী জানিয়েছে।

সামরিক বাহিনীর নিয়ন্ত্রিত টেলিভিশনে এক বছরের জন্য মিয়ানমারে জরুরি অবস্থা জারির ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। সু চি ও তার ক্ষমতাসীন দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতা গ্রেফতারও হয়েছেন।

টেলিভিশনে ঘোষণায় তাদেরকে গ্রেফতারের কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে গত বছর নির্বাচনে 'জালিয়াতির' ঘটনা।

জরুরি অবস্থা জারি করে বর্তমানে মিয়ানমারের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান সেনাবাহিনীর সিনিয়র জেনারেল মিং অং হ্লাইংয়ের হাতে।

নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে মিয়ানমরে বেসামরিক সরকার এবং প্রভাবশালী সামরিক বাহিনীর মধ্যে কয়েকদিন ধরে দ্বন্দ্ব ও উত্তেজনাই এই অভ্যুত্থানের কারণ বলে মনে করা হচ্ছে।

২০১১ সালে গণতান্ত্রিক সংস্কার শুরুর আগ পর্যন্ত অর্ধশতক মিয়নমার সেনাবাহিনীর শাসনেই ছিল।

সে সময় দীর্ঘ ১৫ বছর গৃহবন্দি করে রাখা হয় সু চিকে। ২০১০ সালে মুক্তি পান সু চি।

২০১২ সালের উপ-নির্বাচনে ৪৫টি আসনের মধ্যে ৪৩টিতে জয়ী হয়ে সংসদে প্রধান বিরোধী দল হয় সু চির দল। এরপর ২০১৫ সালের নির্বাচনে এনএলডি নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে সরকার গঠন করে।

সেই সরকারের মেয়াদ শেষে গত বছরের ৮ নভেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে সু চির দল এনএলডি বড় জয় পায়। পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য যেখানে ৩২২টি আসনই যথেষ্ট, সেখানে এনএলডি পেয়েছে ৩৪৬টি আসন।


করোনায় আক্রান্ত একজন, লকডাউনে ২০ লাখ

বাচ্চার নাম 'ভামিকা' নিয়ে বিপাকে বিরাট-আনুশকা

মিয়ানমারের সব যাত্রীবাহী ফ্লাইট বন্ধ

এখন থেকে ফোন বন্ধ রাখবেন আমির খান


কিন্তু সেনাবাহিনী সমর্থিত দল ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (ইউএসডিপি) ভোটে প্রতারণার অভিযোগ তুলে ফলাফল মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে নতুন করে নির্বাচনের দাবি তোলে। এরপর থেকেই দেশটিতে আবার সামরিক অভ্যুত্থানের শঙ্কা করা হচ্ছিল।  

news24bd.tv / নকিব