অন্যের ব্যক্তিগত বিষয় জানার আনন্দের মতো আর কিছু নাই

অন্যের ব্যক্তিগত বিষয় জানার আনন্দের মতো আর কিছু নাই

Other

অন্যের ব্যক্তিগত বিষয় জানার আনন্দের কাছে পৃথিবীর সকল আনন্দ নস্যি। এর মত মজা দুনিয়ায় আর কিছু নাই। অন্যের ব্যক্তিগত তথ্য আমাদের কোন কাজে লাগেনা তবুও আমরা আড়ি পেতে সম্পূর্ণ অপরিচিত মানুষের কথা শুনতেও পছন্দ করি।  

আর আমি মনে করি মানুষকে আনন্দ দেয়ার মত পুণ্যের কাজ আর কিছু নাই।

তাই আমার ব্যাপারে আজকে কিছু নতুন FAQ এর আন্সার।  
প্রথম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন- দুলাভাই কেমন আছে ? উনার অনুভূতি কি ? - দুলাভাই এর স্ত্রী বিদেশ। উনি সামান্য খারাপ থাকবেন এটাই স্বাভাবিক তবে উনার সাথে আমার দিনে ঊনচল্লিশ বার কথা হয়।

উনার সাথে আমার সামান্য টানাপোড়েন আছে যা পৃথিবীর তাবৎ স্বামী স্ত্রীর মধ্যে দীর্ঘ দাম্পত্যে থাকে।

এটা খুব স্বাভাবিক। আর সুযোগ থাকলে টানাপোড়েন না বাড়িয়ে মানুষের উচিত সামান্য ভৌগলিক দূরত্ব বাড়ানো। কারন কখনো কখনো ফিজিক্যাল প্রেজেন্স মেন্টাল ডিস্ট্যান্স আরো বাড়িয়ে দেয় কিন্তু সাময়িক দূরত্ব মানুষকে আবার কাছে আনে।

তবে আমার এই অন্তর্ধান এর পেছনে দুলাভাই এর ভূমিকা সামান্যই। আমিই এর মূল কারন। আমি মনে করি দুলাভাই এর স্ত্রী এবং পুত্রদের মাতা হওয়া ছাড়াও আমার একটা পরিচয় আছে, স্বাতন্ত্র্য আছে। আমার একটা আমি আছে। সেই আমিটা যেমন সংসারী ঠিক তেমনই  বৈরাগী।  

সেই সংসারী আমি চোখ বেঁধে সংসার করেছি একুশ বছর। আমার জীবনের অর্ধেকের বেশী। তারপর বছর খানেক আগে হঠাত বৈরাগী আমি মাথা চাড়া দিয়ে উঠলো।  

সত্য কথা হল, সেই শিশু বয়সে বিয়ে, তারপর সন্তান, সংসার, বাজার, রান্না এই এক রুটিনে চলতে চলতে ক্লান্ত হয়ে গেছিলাম। যে বয়সে মানুষ বন্ধুদের সাথে হই হুল্লোড় করে, ক্যারিয়ার নিয়ে ভাবে, সেই বয়সে আমি কোলে দুই কোলে দুই বাচ্চা নিয়ে নাক মুখ গুজে সংসার করেছি। ১৮ বছরের পর থেকে আমার নিজের কোন জীবন নাই।


রাজধানীতে ছাত্রদলের কর্মসূচিতে বিশৃঙ্খলা, পুলিশের সাথে সংঘর্ষ

সৌদি যুবরাজ সালমানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার আহবান জাতিসংঘের

ইরানের সঙ্গে আইএইএ’র সম্পর্ক নষ্টের চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র

সুইপার থেকে হাজার কোটি টাকার মালিক


কোন পার্থিব জিনিসের অভাব ছিল না। But some very important elements had been missing. সারাক্ষণ কি যেন নাই কি যেন নাই অনুভূতি। পরে খুঁজে বের করলাম আমার আসলে কাজ নাই।  

সারাক্ষণ মনে হত এই যে মহামূল্যবান জীবনটা আল্লাহ দিলেন এইটার তো কোন সদ্ব্যবহার করা হল না। সামান্য লেখালেখির অভ্যাস সেই ঘা এ কিছুটা মলমের কাজ করছিলো। কিন্তু তবুও আমি নিজেকে খুঁজে পাচ্ছিলাম না।  

I was tired of the being secured , I was tired of being protected. I was tired of being so sure of everything around me. 
আমি সেই সোনার খাঁচার বাইরে বের হয়ে জগতটাকে দেখতে চাইলাম। নিজের এবিলিটি পরখ করতে চাইলাম। দেখতে চাইলাম সারাজীবন পুরুষের কাঁধে ভর দিয়ে চলা একজন নারী একা সারভাইব করতে পারে কি না।

তারপর আর কি? Veni, Vidi, Vici অর্থাৎ এলাম দেখলাম এবং জয় করলাম। শারীরিক কষ্টে অনভ্যস্ত আমি সাতদিন সাতদিন কাজ করি এখন। শরীরে হাতুড়ি পেটা টাইপ ব্যথা নিয়ে ঘরে ঢুকি, পরেরদিন আবার যাই। জানি একদিন এই কষ্ট সয়ে যাবে। সবারই যায়।  

এই ভিন দেশে এসে পিজা বেচবো, ট্র্যাভেল এজেন্সিতে টিকেট বুকিং দিবো এমনও কোন টার্গেট না। সাতদিন কষ্ট করতে হবে এরও কোন কারন নাই। প্রথমে কাজ পাচ্ছিলাম না এখন ছাড়তে পারছি না।  

আর স্বামী সন্তান রেখে আরেক দেশে এসে ডলার ইনকাম করে খুব মহাভারত অশুদ্ধ করে ফেলছি তাও না। কিন্তু মনে হয় আরেকবার সুযোগ পেলে আমি দারুণ কিছু করব, আরেকবার আমাকে বড় হতে দিলে আমি আমার সমস্ত মেধাকে কাজে লাগাবো, আরেকবার সুযোগ পেলে আমি সৃষ্টিকর্তাকে বলতে পারবো আমি আমার মহামূল্যবান জীবনের সৎ ব্যবহার করেছি। এমনি এমনি নষ্ট করি নি।  

আমি আবার আঠারো বছর বয়স থেকে শুরু করতে চাই, অনেক পড়তে চাই, অনেক কাজ করতে চাই, বিশ্বজয় করতে চাই। আমি সদ্য কিশোরীর মত চিৎকার করে বলতে চাই-
Give me some sunshine. Give me some rain. 
Give me another chance, I will grow up once again....

news24bd.tv/আয়শা