প্রধানমন্ত্রীর কাছে খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন

প্রধানমন্ত্রীর কাছে খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন

অনলাইন ডেস্ক

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ আরো ৬ মাস বাড়ানোর আবেদন প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়েছে। খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়াতে প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দিলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ থেকে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। সুরক্ষা সেবা বিভাগের একজন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে এ তথ্য জানিয়েছেন।

এর আগে গত সোমবার (৮ মার্চ) বেগম জিয়ার শাস্তি স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ ৬ মাস বাড়ানোর বিষয়ে মতামত দিয়ে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত ফাইল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।

সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানোর ক্ষেত্রে আগের শর্তগুলো বহাল রাখার বিষয়ে তাদের মতামতের কথাও জানায় আইন মন্ত্রণালয়।

আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বেগম জিয়ার দ্বিতীয় দফায় ৬ মাসের মুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ২৫ মার্চ। আগের মতো মুক্তির বর্ধিত মেয়াদে খালেদা জিয়া নিজ বাসায় থেকে তার চিকিৎসা গ্রহণ করবেন। একইসঙ্গে এই সময়ে তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না বলে শর্ত দেয়া হয়েছে।

তবে দেশের মধ্যে যে কোনো হাসপাতালে গিয়ে খালেদা জিয়া চিকিৎসা নিতে পারবেন জানিয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন, ‘খালেদা জিয়া যদি দেশের ভেতরে বিশেষায়িত চিকিৎসা নেন, সরকারের তাতে কোনো আপত্তি নেই। ’

আরও পড়ুন


হাসপাতাল চত্বরে রেলিং ও গাছে উঠে মমতার কর্মীদের বিজেপি বিরোধী স্লোগান

প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপির সমাবেশ, অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন

অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখে ফেলায় শাশুড়িকে হত্যা করল পুত্রবধূ

মমতাকে থাকতে হবে ৪৮ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে, বাম পায়ের চোট গুরুতর


গত ২ মার্চ খালেদা জিয়ার দণ্ডাদেশ স্থগিত করে স্থায়ী জামিন ও বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন খালেদা জিয়ার ভাই শামীম এস্কান্দার। জানা গেছে, শামীম এস্কান্দারের আবেদনে বলা হয়েছে, করোনাকালে খালেদা জিয়ার প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। এই সময়ে তাঁর কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাও সম্ভব হয়নি। তাই চিকিৎসার সুবিধার্থে তাঁকে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার অনুমতিও চাওয়া হয় আবেদনে। পরে ওই আবেদন মতামতের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।

উল্লেখ্য, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন বকশীবাজার আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ আদালত। রায় ঘোষণার পর খালেদাকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে অবস্থিত পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রাখা হয়। এরপর ৩০ অক্টোবর এ মামলায় আপিলে তার আরো পাঁচ বছরের সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করেন হাইকোর্ট। একই বছরের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়াকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন একই আদালত। রায়ে ৭ বছরের কারাদণ্ড ছাড়াও খালেদা জিয়াকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন।

news24bd.tv আহমেদ