মার্কেট খোলা রাখার দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম-নোয়াখালীতে ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ

মার্কেট খোলা রাখার দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম-নোয়াখালীতে ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক

সারা দেশে চলছে সাতদিনের লকডাউন। আর এই লকডাউনের প্রতিবাদে রাজধানী ঢাকাসহ বন্দরী নগরী চট্টগ্রাম ও নোয়াখালীতে বিক্ষোভ করেছেন ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, গত বছর যে লকডাউন দেওয়া হয়েছিলো। তাতে ব্যবসায়ীরা চরম ক্ষতির মুখে পড়েন।

সেই ক্ষতি এখনও পুষিয়ে উঠা সম্ভব হয়নি।

এরই মধ্যে আবার লকডাউন ব্যবসায়ীদের খাদের কিনারায় দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। আর তাই তারা শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে মার্কেট খোলা রাখার দাবি জানিয়েছেন।

আজ বিকেলে চট্টগ্রামে নগরের নিউ মার্কেট মোড় ও রিয়াজউদ্দিন বাজারের সামনে মিছিল-সমাবেশ করেন ব্যবসায়ীরা।

এতে সহস্রাধিক দোকান মালিক ও কর্মচারী অংশ নেন।

চট্টগ্রাম নগরের রিয়াজউদ্দিন বাজার তামাকুমণ্ডি লেন বণিক সমিতির সভাপতি আবু তালেব বলেন, ‘গত ঈদেও করোনার কারণে দোকান বন্ধ রাখায় ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই ক্ষতি এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি। এবারও ঈদ সামনে এই সময় লকডাউন আমাদের পথে বসিয়ে দেবে।   রমজান ও ঈদকে সামনে ব্যবসায়ীরা কোটি কোটি টাকার কাপড়সহ মালামাল তুলেছে। তাই শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে মার্কেট খোলা রাখার দাবি জানাচ্ছি। স্বাস্থ্যবিধির শর্ত মেনে চলতে আমরা প্রস্তুত।  

একই দাবিতে দুপুর ১২টার দিকে নোয়াখালীর প্রধান বাণিজ্যকেন্দ্রে বেগমগঞ্জের চৌমুহনীতে লকডাউনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন ব্যবসায়ীরা।

চৌমুহনী ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হুমায়ুন কবির বলেন, গত বছর লকডাউনের ক্ষতি এখনো আমরা পুষিয়ে উঠতে পারিনি। এবারও ঈদের আগ মুহূর্তে লকডাউন আমাদেরকে চরম ক্ষতির মুখে ফেলেছে। আমাদের পিঠ এখন দেয়ালে ঠেকে গেছে। তাই রাস্তায় নেমেছি। আমাদের দাবি একটাই সরকারি অন্য দপ্তরের ন্যায় শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে মার্কেটগুলো খোলা রাখা হোক।  

এদিকে রাজধানী ঢাকায়ও বিক্ষোভ করেছেন ব্যবসায়ীরা।  

আজ সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ইসলামপুর-পাটুয়াটুলি রোডে কয়েকশো ব্যবসায়ী রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিক্ষোভকারীদের বুঝিয়ে রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয়।


মসজিদে নামাজ আদায়ের ব্যাপারে মানতে হবে যে নির্দেশনা

দুই রমণীই মামুনুলকে প্রভু মানে

বাংলাদেশি ফেসবুক ব্যবহারকারীদের তথ্য ফাঁস!

লকডাউন কি বাড়বে?


বিক্ষোভে অংশ নেওয়া ব্যবসায়ীরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপাট খুলে দেয়ার দাবি জানান।

এসময় তারা 'গরীব মারার লকডাউন আমরা মানি না', মানবো না' বলে শ্লোগান দেন।  

ব্যবসায়ীরা বলেন,  আগে মানুষের পেটে ভাত দিন, তারপরে লকডাউন। গত বছর লকডাউনের কারণে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেটা পুষিয়ে না উঠতেই আবারও লকডাউন। গরীব মারার এ লকডাউন আমরা মানি না। মানবো না।

news24bd.tv নাজিম