রমজানে দোয়া কবুল হওয়ার উপায়

রমজানে দোয়া কবুল হওয়ার উপায়

অনলাইন ডেস্ক

দেখতে দেখেতে কেটে গেছে মাহে রমজানের বেশ কয়েকটি রোজা। রহমতের দশ দিন পেরিয়ে এখন মাগফেরাতের দশ দিন চলছে। সকলেরই একটাই চাওয়া তা হলো সুস্থতার সঙ্গে বাকি রোজাগুলো রাখতে পারা। মহান আল্লাহ তাআলা তার বান্দাদের জন্য অসংখ্য সুযোগ দিয়েছেন এই মাসে।

সৎ উদ্দেশে এই মাসে আল্লাহর কাছে কোন কিছু চাইলে তিনি ফেরত দেন না।

ফজিলত পূর্ণ এই রমজান মাসে মহান আল্লাহ তাআলা অধির আগ্রহে থাকেন যে, কখন তার বান্দা তার দিকে ফিরে আসে? মহান রাব্বুল আলামিনের কাছ থেকে চেয়ে নেয়ার মাস রমজান। এ বরকতময় মাসে যে যত বেশি চাইতে পারবে; মহান আল্লাহ তাআলা তাকে তত বেশি দান করবেন। আল্লাহ তাআলা কুরআনে পাকে ঘোষণা দেন এভাবে-
‘তোমরা আমাকে ডাক, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব।

কিন্তু যারা আমার ইবাদত সম্বন্ধে অহংকার করে, তারা নিশ্চয় লাঞ্ছিত হয়ে জাহান্নামে প্রবেশ করবে। ’ (সূরা মোমেন: আয়াত ৬০)

বান্দার প্রতি মহান আল্লাহর নেয়ামত এত বেশি যে, কোনো মানুষই তার এসব নেয়ামত গুণে শেষ করতে পারবে না। সে ঘোষণাও এভাবে এসেছে-
‘আর যা কিছু তোমরা তার কাছে চেয়েছো তিনি তোমাদের সব দিয়েছেন এবং যদি তোমরা আল্লাহর নেয়ামত সমূহ গণনা করতে চাও তাহলে তোমরা সেগুলোর সংখ্যা নিরূপণ করতে পারবে না। ’ (সূরা ইবরাহিম : আয়াত ৩৪)

আয়াত দুইটি থেকে সুস্পষ্ট প্রমাণিত হয় যে, মহান আল্লাহ তাআলা তার বান্দার দোয়া গ্রহণ করার জন্য অধির আগ্রহে অপেক্ষা করেন। কখন তার বান্দা তাকে ডাকবে আর তিনি তা গ্রহণ করবেন এবং তার দুঃখ-কষ্ট মুছে দেবেন। তিনি সবার খুবই কাছে রয়েছেন, যেভাবে কুরআনে উল্লেখ রয়েছে-
‘আর যখন আমার বান্দাগণ আমার সম্বন্ধে তোমাকে জিজ্ঞাসা করে, তখন বল, আমি কাছেই আছি। আমি প্রার্থনাকারীর প্রার্থনার উত্তর দেই; যখন সে আমার কাছে প্রার্থনা করে। সুতরাং তারা যেন আমার ডাকে সাড়া দেয় এবং আমার ওপর ঈমান আনে যাতে তারা সঠিক পথ প্রাপ্ত হয়। ’ (সূরা বাকারা: আয়াত ১৮৬)

এ আয়াত থেকে যে বিষয়টি অনুধাবন করা যায়; তাহলো- তিনি প্রার্থনাকারীর প্রার্থনার উত্তর দিয়ে থাকেন। আমারা যদি প্রকৃতভাবে তাকে ডাকি তাহলে অবশ্যই তিনি আমাদের ডাকে সাড়া দিবেন। আমরা যদি বিনীতভাবে প্রার্থনা করি তাহলে হয়তো তিনি বিশ্ব থেকে মহামারি করোনাসহ সব বালা-মুসিবতও দূর করে দিবেন।

আমরা জানি বিশ্বনবি মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সব কিছুই ছিল আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টির জন্য। তাইতো তিনি সবসময় আল্লাহর মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতেন। তাঁর দোয়ার বরকতে অসংখ্য বনি আদম পেয়েছে ইসলামের সুন্দর সুশীতল জীবন। দুনিয়ায় পেয়েছে জান্নাতের ঘোষণা।

আমরাও যদি প্রকৃতভাবে সেই মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের বান্দা হই; যিনি আমাদের শুধু তার ইবাদতের উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করেছেন; তাহলে তিনি অবশ্যই আমাদের ডাকেও সাড়া দেবেন।

আরও পড়ুন


রমজান ও রোজা সম্পর্কে বিশ্ব নবীর ঐতিহাসিক নসিহত

প্যারিস জলবায়ু চুক্তি বাস্তবায়নই একমাত্র সমাধান

খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে ভর্তি

কোহলিদের ‘১’ রানের কষ্টার্জিত জয়


দোয়া করবো যেভাবে

আল্লাহ তাআলা দোয়া কবুল করবেন এবং করার ক্ষমতা রাখেন- এই দৃঢ় বিশ্বাস নিয়ে দোয়া করতে হবে এবং আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হওয়া যাবে না। দোয়া করার আগে নিজ শরীর, কাপড়-চোপড় এবং পরিবেশের পবিত্রতার প্রতিও লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন।

কেননা আল্লাহ তাআলা পবিত্র, তাই তিনি পবিত্রতাকেই বেশি পছন্দ করেন। দোয়ার জন্য এক নীরব নিস্তব্ধ কোলাহলমুক্ত পরিবেশ বেছে নেয়া দরকার যাতে দোয়ার মাঝে পূর্ণ একাগ্রতা সৃষ্টি হয়। রমজানের এ দিনগুলোকে নিষ্ঠার সঙ্গে হৃদয়কে পবিত্র করে দোয়ায় রত হতে হবে।

বর্তমানে বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে বিশ্ব পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়াবহ। তাই দয়াময় আল্লাহ তাআলার দরবারে আমাদের সবাইকে এভাবে বিনীত প্রার্থনা করতে হবে- তিনি যেন যাবতীয় বালা-মুসিবত, বিপদ-আপদ পেরেশানি থেকে বিশ্ববাসীকে নিরাপদ রাখেন। আর বিশ্বকে করেন করোনামুক্ত। আমিন।

news24bd.tv আহমেদ